নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মতই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। ১৯ এর লোকসভায় জয়লাভের পর মাঝে একটা সময় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তবে ভোট আসতেই ফের বিজেপিতে ফিরে বিজেপির টিকিট পকেটে পুরেন।
সম্প্রতি অর্জুন সিং তার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে জমা দিয়েছেন হলফনামা। তিনি ৮২ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই ৮২ পাতার হলফনামার অর্ধেকের বেশি পাতায় ধরা রয়েছে তার বিভিন্ন মামলার বিবরণে। তার নামে ১০০-এর কাছাকাছি মামলা রয়েছে, সংখ্যাটা ৯৩।
এখন এইসব মামলার কথা ছেড়ে যদি অর্জুন সিংয়ের রোজগারের দিকে নজর রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে, শেষ পাঁচ বছরে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত তিনি যথাক্রমে রোজগার করেছেন ১১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৪৭ টাকা, ২২ লক্ষ ৯২ হাজার ২২০ টাকা, ১৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৮০ টাকা, ১২ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৮০ টাকা, ১৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৮০ টাকা।
এবার চোখ রাখা যাক তার অস্থাবর সম্পত্তির দিকে। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তার হাতে ১০ লক্ষ ৮ হাজার ৩২৫.৭৮ টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ রয়েছে। ৪৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৩০ টাকা দামের তার একটি চার চাকা বাহন রয়েছে। ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৮২ টাকার সোনার অলংকার রয়েছে। আর এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে তার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩০৯.৬১ টাকা। স্ত্রীর নামে থাকা কোন সম্পত্তির হিসেব তিনি দেননি।
আরও পড়ুন ? ফুল বদল তো করলেন, এবার কি সাংসদ পদ ছাড়বেন অর্জুন সিং
এবার যদি তার স্থাবর সম্পত্তির দিকে নজর রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে তার নামে রয়েছে একটি বাসযোগ্য বাড়ি। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী যার দাম ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৫৬ টাকা। তবে এর পাশাপাশি তার নামে গাড়ি বাবদ ৩১ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৯৪ টাকার লোন রয়েছে। আর সবকিছু মিলিয়ে তার মোট লোনের পরিমাণ এক কোটি ১৮ লক্ষ ৭ হাজার ৫৩৯ টাকা।
অর্জুন সিংয়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কি তা সম্পর্কে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন, রোজগারের উৎস হল ব্যবসা। এছাড়াও তিনি একজন সাংসদ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। সে ক্ষেত্রেও তার রোজগার রয়েছে। অন্যদিকে অর্জুন সিংয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে, এক্ষেত্রে তিনি হলফনামায় দাবি করেছেন, তিনি ১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন।