Indian Railways Braille Navigation System: বসলো বিরাট প্রযুক্তি, এবার হাওড়া-শিয়ালদা রেল স্টেশনে যাত্রীরা পাবেন বড় সুবিধা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের গণপরিবহনের লাইফ লাইন হিসাবে সব সময় ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) ধরা হয়ে থাকে। দেশের প্রায় দু’কোটি মানুষ প্রতিদিন রেল পরিষেবার ওপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করেন। এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীরা দেশের প্রায় ৮০০০ রেলস্টেশন থেকে সফর করে থাকেন। রেলের তরফ থেকেই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের সবসময় নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দের দিকটি দেখা হয়। ঠিক সেই রকমই এবার হাওড়া ও শিয়ালদা রেল স্টেশনে এমন এক প্রযুক্তি বসানো হলো যাতে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

Advertisements

ভারতে যে প্রায় ৮ হাজার রেল স্টেশন রয়েছে তার মধ্যে হাওড়া ও শিয়ালদা রেল স্টেশনকে অন্যতম রেলস্টেশন হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। এই দুটি রেল স্টেশনে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীরা আসেন এবং যান। এছাড়াও এই দুটি রেলস্টেশন দেশের অন্যতম পুরাতন দুটি রেল স্টেশন। পাশাপাশি দুটি রেল স্টেশনে রাজ্যের রাজধানী কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ার কারণে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisements

এবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই দুটি রেল স্টেশনে দিব্যাঙ্গ যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে দিল পূর্ব রেল। যে সকল যাত্রীরা পুরোপুরিভাবে অন্ধ অথবা চোখে অল্প দেখেন তারা নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাওড়া ও শিয়ালদা রেল স্টেশনের সমস্ত খুঁটিনাটি নিমেষে বুঝতে পারবেন। নতুন এই প্রযুক্তির ফলে তারা অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই স্টেশনের টিকিট কাউন্টার কোথায় রয়েছে, কোথায় প্রতীক্ষালয় থেকে শুরু করে কোথায় প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি সবকিছু বুঝতে পারবেন।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Two Stations in Same Place: দু’পা হাঁটলেই আলাদা স্টেশন! একই জায়গায় দুই নামের রেলস্টেশন রয়েছে ভারতের এই জায়গায়

চোখে কম দেখতে পাওয়া অথবা পুরোপুরি অন্ধ যে সকল মানুষেরা ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশুনা করেছেন অথবা এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জানেন তারা আর অন্য কারো ভরসা ছাড়াই হাওড়া ও শিয়ালাদা রেল স্টেশনে নিজেরাই সবকিছু করে নিতে পারবেন। কেননা পূর্ব রেলের তরফ থেকে এই দুটি রেল স্টেশনে প্রবেশের মুখে স্থাপন করা হয়েছে ব্রেইল নেভিগেশন (Braille Navigation System)। এই পরিষেবা পুরোপুরি অন্ধ অথবা চোখে কম দেখা যাত্রীদের জন্য কত উপকারে আসবে তা বলে বোঝানো অসম্ভব।

হাওড়া ও শিয়ালাদা রেল স্টেশন ছাড়াও এই ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে কলকাতা স্টেশনেও। এই তিনটি রেল স্টেশনের প্রবেশদ্বারে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ৪ ফুট বাই দুই ফুটের। ব্রেইল নেভিগেশনে রাখা হয়েছে টিকিট কাউন্টার, কনকোর্স এলাকা, জলের ট্যাপ, টয়লেট, ওয়েটিং রুম, প্ল্যাটফর্মের দিক নির্দেশ ইত্যাদি। এছাড়াও দেওয়া হয়েছে প্রবেশ ও প্রস্থানের পথনির্দেশিকা, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিষেবার নির্দেশিকা সহ এসকেলেটর, লিফট ইত্যাদির অবস্থান সম্পর্কিত নির্দেশিকা।

Advertisements