ফুলকপি তো নয়, যেন রংবেরঙের ফুল, নতুন চাষে তাক লাগলেন বাংলার চাষি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফুলকপি প্রতিটি বাড়িতে রান্না হয়ে থাকে। শীতের সময় ফুলকপির যোগান সবচেয়ে বেশি থাকলেও সারা বছরই মোটামুটি ভাবে ফুলকপি পাওয়া যায়। তবে আমরা বাজারে সচরাচর যে সকল ফুলকপি দেখে থাকি সেগুলি সাদা রংয়ের হয় আর সেগুলিই খেয়ে অভ্যস্ত। যে কারণে অন্য কোন রংয়ের ফুলকপি হয় কিনা সেই ধারণা নেই বললেই চলে।

এমন ধারণা না থাকলেও বাংলার এক চাষী বেগুনি, হলুদ বিভিন্ন ধরনের ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন। বিভিন্ন রঙের ফুলকপি চাষ করে এমন তাক লাগানো চাষী হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক গ্রামের প্রমথ নাথ মাজি। দীর্ঘদিন ধরেই তার অভিনব চাষের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে এবং সেই আকর্ষণ থেকেই তিনি কখনো ব্রকলি, কখনো চাইনা বাঁধাকপি আবার কখনো ক্যাপসিকাম চাষ করে থাকেন।

অভিনব চাষের নেশা থেকে তিনি এই বছর পরীক্ষামূলকভাবে রংবেরঙের ফুলকপি চাষ করার কাজ শুরু করেছেন। এক হাজার ফুলকপি চারা তিনি এই বছর চাষ করেছেন বিভিন্ন রঙের। অভিনব এবং অন্য ধরনের চাষ করার ক্ষেত্রে প্রথমদিকে প্রমথনাথ বাবুর কিছুটা ভয় সংশয় হলেও বর্তমানে ভালো ফলন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি এবং এর বাজার মূল্য বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে তার থেকেই।

এই ধরনের ফুলকপির বিপুল গুনাগুন রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। যে কারণে তার এই চাষের পাশাপাশি এই ফুলকপি চাষের আগ্রহ অন্যান্য চাষীদের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তার রংবেরঙের এই সকল ফুলকপি চাষ হয় পার্শ্ববর্তী যশোড়া, খুকুড়দহ, দেউলিয়া ও কোলাঘাট বাজারে।

পূর্ব মেদিনীপুরে রঙিন ফুলকপি চাষ প্রথম বলেই দাবি করেছেন প্রমথ নাথ মাজি। তবে উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জায়গায় এর আগেও রঙিন ফুলকপি চাষের উৎসাহ দেখাতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন চাষীকে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে রঙিন এই ফুলকপি চাষ প্রমথ নাথ মাজিকে নতুন দিশা দেখানোর পাশাপাশি অন্যান্য চাষীদেরও উৎসাহিত করার ফলে আগামী বছর আরও বেশি করে তারা চাষ করবেন বলেই দাবি করেছেন।