ট্রাফিক ফাইন বেড়েছে ১০ গুণ, বাঁচতে অভিনব আবিষ্কার চালকের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ট্রাফিক আইন লাগু হওয়ার পর জরিমানার ভয়ে রীতিমতো আতঙ্কে দেশের নাগরিকরা। গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলেই চিন্তিত সকলে, যদি একবার ট্রাফিক পুলিশের হাতে করেন তাহলেই নিঃস্ব। অবশ্য তখনই আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে যদি আপনি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেন অথবা জরুরী কাগজপত্র না থাকে। আর এই জরিমানার পরিমাণ এতটাই বিপুল যে, কয়েকবার যদি আপনি এই জরিমানার সম্মুখীন হন তাহলে গাড়ির দামকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আর আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইন্সিওরেন্স বা এরকম অন্যান্য জরুরী কাগজপত্র বাড়িতে ভুলেই বের হওয়ার ঘটনা অহরহ। আর তারপরেই যখন ট্রাফিক পুলিশের হাতে পড়তে হয়, তখন আমরা বলে থাকি, এবার ভুল হয়ে গেছে, পরের বার আর হবে না, অবশ্যই কাগজপত্র আনবো। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলে খুব কম, গুনতে হয় জরিমানা।

আর এরকম ভুলে যাওয়ার মতো ঘটনা এবং জরিমানার মত বিপত্তি থেকে রেহাই পেতে ভারতের এক মোটরসাইকেল চালক বের করেছেন অভিনব পন্থা। তিনি গুজরাটের ভাদোদরার বাসিন্দা রাম শাহ, তার কান্ড কারখানা দেখে রীতিমতো হতবাক নেট দুনিয়ার নেটিজেনরা।

ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে গাড়ির ইন্সুরেন্স, দূষণ কাগজ সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হেলমেটে পরপর আঠা দিয়ে চিপকে রাস্তায় বেরিয়েছে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে। তাকে যাতে কোনভাবেই জরিমানা করতে না পারে ট্রাফিক পুলিশ, সেজন্য এই পন্থা বেছে নিয়েছেন তিনি বলে জানিয়েছেন।

কিন্তু তাতেও কি রক্ষা তাঁর! না রক্ষে হয়নি। রক্ষে হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের হাত থেকে। এভাবে রাস্তায় বের হওয়ার পর তার ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এইভাবে রাস্তায় বের হলে তিনি আর জরিমানার সম্মুখীন হবেন না। কারণ মোটর সাইকেল চালানোর সময় আমি আগে হেলমেট পরি। সে কারণেই হেলমেট এর সাথে সমস্ত জরুরী কাগজপত্র সাটিয়ে নিয়েছি। যাতে করে ভুলে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা না থাকে।”

প্ৰসঙ্গত, নতুন মোটরভিকেল সংশোধনী বিল ভারতে পাস হলেও এখনো পর্যন্ত গুজরাট অথবা পশ্চিমবঙ্গের মত বেশ কয়েকটি রাজ্যে লাগু হয়নি। গুজরাটে এই বিল খুব তাড়াতাড়ি লাগু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এক্ষুনি এই নতুন আইন পশ্চিমবঙ্গে লাগু করা হবে না।