শুকরের পেটে হাতির ছানা! একই রকম শুঁড়, বড় বড় কান! এমনটাও সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষের পেটে মানুষ, কুকুরের পেটে কুকুর অথবা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে তাদের গোত্রীয় প্রাণী জন্মগ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই স্বাভাবিক ঘটনার বাইরে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে। সেখানে রবিবার ভোর বেলায় দেখা যায়, একটি শুকরের পেট থেকে হাতির ছানার মতো প্রাণী ভূমিষ্ঠ হয়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দূর দূরান্ত থেকে মানুষেরা ভিড় জমান শুয়োরের (Pig) পেট থেকে জন্মানো হাতির (Elephant) বাচ্চা দেখতে।

রবিবার ভোর বেলায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাতকাটা এলাকায়। সেখানকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ১০ নম্বর শ্রমিক মহল্লায় এমন ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, শুকরের পেট থেকে যা জন্মগ্রহণ করেছে তা হাতির বাচ্চার মতই দেখতে।

শুকরটির মালিক নন্দিনী মানকিমুন্ডা জানিয়েছেন, “ওই শুকরটির মোট আটটি বাচ্চা দেয়। তার মধ্যে দুটি বাচ্চা মারা যায়। মারা যাওয়া দুটি বাচ্চার মধ্যে একটি হাতির মতো শুঁড় আর বড় বড় কান রয়েছে। এমন ঘটনা এর আগে তারা কখনো দেখেননি। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন তাদের বাড়িতে এসে ভিড় জমান ওই শুকরটিকে দেখার জন্য।”

এমন অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকতে আসা সুব্রত বাবু নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “অদ্ভুত এক প্রাণী দেখলাম যা আগে কখনো দেখিনি। শুকরের পেটে এইভাবে হাতির মতো কোনো প্রাণী জন্মগ্রহণ করতে পারে তাও কোন দিন শুনিনি। এই শুকর ছানাটির হাতির মতোই শুঁড় আর বড় বড় কান রয়েছে।”

শুকরের পেটে হাতির ছানা জন্ম গ্রহণ কি আদৌ সম্ভব! কি বলছে বিজ্ঞান? এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক মহলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, “যে বাচ্চাটি হয়েছে সেটি হাতির মতো মুখ বলাটা ভুল হবে, তবে শুকরের মুখ যেমনটা হওয়া উচিত তেমনটা হয়নি। তবে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, মানুষ বা হাতির দ্বারা সৃষ্ট কোন কিছু নয়। হয়তো শুকরটি যখন গর্ভবতী ছিল তখন ধাক্কাতে ভেতরের ফিটাসটি নষ্ট হয়েছে অথবা বিজ্ঞানের ভাষায় যেটিকে বলে জায়গনস্টিক ফিটাস। অর্থাৎ ফিটাসটি বড় হয়ে যাবে, স্বাভাবিকের মত আকার আকৃতি কিছু থাকবে না।”