Siliguri New Bus Stand : পুজোর আগেই সোনায় সোহাগা পর্যটকদের! পাহাড় যাওয়ার বাস ধরার ঝামেলা থেকে মিলবে মুক্তি

Siliguri New Bus Stand : পুজোর ছুটিতে দক্ষিণের মানুষ হবেন উত্তরমুখী। পাহাড়ে গিয়ে কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গগামী বেশিরভাগ ট্রেনগুলির সিট বুক হয়ে গিয়েছে। তবে অনেকের চিন্তা রয়েছে উত্তরবঙ্গে নেমে গন্তব্যে যাওয়ার বাস নিয়ে। তবে এবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার বাস ধরার ঝামেলা থেকে মুক্তি। এবার বাস যাত্রা হবে আরও আরামদায়ক। পড়তে হবে না যানজটের মুখে। পুজোর আগেই করা হচ্ছে বড় পদক্ষেপ।

জানা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের প্রবেশ পথ শিলিগুড়িতে তৈরি হচ্ছে নতুন বাস স্ট্যান্ড। শহরে এই নতুন বাস স্ট্যান্ড তৈরি হয়ে গেলে সুবিধা হবে পর্যটকদের। এনজিপি স্টেশন থেকে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে নতুন বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে বিভিন্ন রুটের বাস ধরতে পারবেন পর্যটকরা। ফলে আর উত্তরবঙ্গে যাওয়ার বাস ধরার জন্য ঝামেলা থাকবে না। ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন ট্রেন জার্নি করে আসা যাত্রীরা। একইসঙ্গে আগামী দিনে পর্যটকদের জন্য রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, পুজোর আগেই পর্যটকরা এই সুবিধা পাবেন। ফলে যারা পুজোতে পাহাড় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, তাদের সোনায় সোহাগা। খবর, শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ের কাছে তৈরি হচ্ছে নতুন এই বাস স্ট্যান্ড। যেখানে শহরের বেসরকারি বাসগুলির স্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের বেশ কিছু রুটের বাস ওখান থেকে চলাচল করবে। পুজোর আগেই প্রাথমিক পর্যায়ের বাস চলাচল শুরু হবে নতুন বাস স্ট্যান্ড থেকে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে হবে আরও কাজ।

অন্যদিকে তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যাণ্ডেও যেভাবে যাত্রী চাহিদা বাড়ছে, তাতে সমস্ত বাস চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যে কারণে তিনবাত্তি মোড়ের কাছে এনবিএসটিসি এর জমিতে নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি হচ্ছে। এনবিএসটিসি এর তরফে ২.৪ একর জমি পুরনিগমকে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিবহন দফতরের উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই টাকায় কাজ শুরু করেছে পুরনিগম। শুরুতেই ২৩ টি বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অনেক দিনের। কারণ স্ট্যান্ডগুলিতে যেমন বাসের চাপ বাড়ছিল, একইসঙ্গে বাড়ছিল যানজট। বর্তমানে শিলিগুড়ি কোর্টমোড় এলাকা থেকে লোকাল বেসরকারি বাসগুলি চলাচল করে। সেখান থেকে বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ভারত নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কির বাসও চলাচল করে। এর ফলে বাসগুলি শহরের মধ্যে দিয়ে চলাচল করায় বহুদিন ধরেই যানজট হচ্ছে শহরে। যে কারণে বাসস্ট্যান্ডটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই ভাবনা।