নিজস্ব প্রতিবেদন : সচরাচর প্রতি মুহূর্তে যা দেখা যায় তার থেকে আলাদা কিছু দেখলেই তা ব্যতিক্রম হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন রাস্তাঘাটে অনেক বিকৃত মনস্ক আছেন যারা কোনো কারণ ছাড়াই কুকুর, বিড়াল, গরুকে তিরষ্কার করেন। তবে এর ব্যতিক্রমও তো আছে। কিন্তু সেই ব্যতিক্রমটা সংখ্যায় অল্প। তাই যখন আমরা পশুপ্রেমের কোনো ছবি বা ভিডিও দেখি তখন মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের মনটা আনন্দে ভরে যায়।
এই পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকার যতখানি অধিকার রয়েছে ঠিক ততখানি অধিকার রয়েছে তাদেরও। শুধু পার্থক্য এটাই আমরা নিজেদের অধিকারটা চিৎকার করে চাইতে পারি, তারা পারে না। সকল জীবজন্তু, মানুষ, গাছপালা সব মিলিয়েই আমাদের প্রকৃতি। কিন্তু কখনো কখনো আমরা ভাবি মানুষই সর্বেসর্বা, তাই নিজেদের শক্তিকে প্রমাণ করবার জন্য অবলা নিরীহদের উপর চরে বসি। কিন্তু এর উল্টো দিকে অবস্থান করা খবরগুলো সংখ্যায় কম হলেও আছে। ঠিক যেমন একটি ছোট ছেলে ভিক্ষা করা টাকা থেকে কুকুরকে প্রতিদিন খাওয়ায় এরকম ছবিও ভাইরাল হতে দেখেছি আমরা। আমরা দেখেছি কত মানুষ দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে পালা করে খিচুড়ি রেঁধে পথ কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন। আবার আহত বিড়াল কুকুরের সেবার জন্য ওষুধ কিনে লাগিয়েও দিচ্ছেন। এমন মানুষের খবরও আমরা পেয়েছি।এই খবরগুলি মানুষের মানবিক দিকটিকেই তুলে ধরে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল সাইটে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভরা বাজারে এক সবজি বিক্রেতার হাত থেকে খাবার খাচ্ছে একটি ময়ূর। আর ওই দোকানী সবজি নিয়ে বসে সবজি বিক্রি করছেন আর রাস্তার ওই ময়ূরটিকে তার হাত থেকে খাবার খাওয়াচ্ছেন। এমন ঘটনাটি রাজস্থানে ঘটেছে। আইএফএস অফিসার রমেশ পান্ডে ভিডিওটি শেয়ার করেন। আর ভিডিওটি শেয়ার করার পরেই পঞ্চান্ন সেকেন্ডের এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে।
Beautiful video showing an example of compassion and love for the animals our rich culture has inculcated in communities. Wish it gets reinforced in generations to come.
VC: Anon/SM pic.twitter.com/UfMkhcg1hY— Ramesh Pandey IFS (@rameshpandeyifs) August 1, 2020
ভিডিওটি শেয়ার করার সময় রমেশ পান্ডে লিখেছেন, “এই সুন্দর ভিডিওটি
আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্প্রদায়গুলিতে সঞ্চারিত প্রাণীদের প্রতি সমবেদনা ও ভালবাসার একটি উদাহরণ। আশা করি এটি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও প্রবাহিত হবে।”
হ্যাঁ পরের হিতে জীবনধারণই আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতি। কিন্তু দুঃখের কথা অনেক মানুষই আমাদের এই সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্মিত হয়েছেন। আবার এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা এই সংস্কৃতিকে বহন করে নিয়ে চলেন বাজারের এই ভদ্রমহিলা তার সব চাইতে বড় প্রমাণ।