জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুরে করোনা নিয়ে গান বাঁধলেন বীরভূমের পুলিশ অফিসার

হিমাদ্রি মন্ডল : ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি হয়েছে লকডাউন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারংবার প্রচার করা হচ্ছে নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, দিন কয়েক নিজেদের গৃহবন্দী রাখতে, সবসময় হাত মুখ পরিষ্কার রাখতে। তবে এমন প্রচারে কতটা হুঁশ ফিরেছে সাধারণ মানুষদের।

হুঁশ ফেরেনি এমনটা বলা ভুল। চোখে পড়েছে বেশীরভাগ মানুষকে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলতে। চোখে পড়েছে বেশীরভাগ মানুষকে নিজেকে গৃহবন্দী রাখতে। তাইতো এই এখন বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা, অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। তবে সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা এইসব সরকারি নির্দেশিকা, লকডাউন ইত্যাদি অতি উৎসাহের সাথে অবহেলা করছেন। আর তাদের এই অবহেলায় হয়তো অন্যান্যদেরও খেসারত দিতে হতে পারে। তবে এমনটা চোখে পরেও পুলিশ নিরাশ হয়ে যায়নি। তারা আবারও প্রচারে নামছেন, আবারও সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন। আর মাঝে মধ্যে তাদের কঠোরও হতে হচ্ছে। তবে এবার এই বোঝানো আর কঠোর হওয়ার মাঝে দেওয়াল তুলে এক অভিনব পন্থা বেছে নিল বীরভূম পুলিশ।

বীরভূম পুলিশের তরফ থেকে বুধবার রামপুরহাটে প্রথম গান গেয়ে মানুষকে সচেতন করতে শুরু করেন রামপুরহাটের এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়া। আর তার পরেই সেই একই ছবি ধরা পরল জেলার সদর শহর সিউড়িতে। সেখানেও দেখা গেল এক পুলিশ আধিকারিককে গান গেয়ে মানুষকে সচেতন করতে। তবে সকালে থেকে বিকালে মুহূর্তটা একটু আলাদা।

সকালে রামপুরহাটের এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়াকে দেখা গিয়েছিল কিশোর কুমারের কালজয়ী গান ‘আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো’ গাইতে। আর বিকালে সিউড়িতে দেখা গেল আরও এক পুলিশ আধিকারিককে হিন্দি গান ‘ধীরে ধীরে সে মেরি জিন্দেগি মে আনা’ গানের সুরে করোনা নিয়ে গান বাঁধতে। সিউড়িতে ওই পুলিশ আধিকারিক জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুরে গাইলেন, ‘এসেছে এক নতুন অসুখ করোনা। করবো তাকে দূর, হাল ছাড়বো না। হাত-পা ধুবো আর নোংরা থাকবো না, স্বাস্থ্যবিধি মানলে হার মানবে করোনা।”

গানের সুর সম্পূর্ণ জনপ্রিয় হিন্দি গান ‘ধীরে ধীরে সে জিন্দেগী মে আনা’ এর থাকলেও গানের প্রতিটি কথা পরিবর্তন করেছেন ওই পুলিশ অফিসার। আর গানের প্রতিটি কথাতেই তুলে ধরেছেন কিভাবে এই করোনা এল, কিভাবে এর প্রতিরোধ করা যায় আর কিভাবে আমরা সমবেতভাবে এর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করতে পারি। আর বীরভূম পুলিশের এমন অভিনব পন্থা দেখে কুর্নিশ জানাচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা।