লকডাউনের পরিস্থিতে দুঃস্থদের ৫০০ ব্যাগ চাল বিলি যুবকের, কুর্ণিশ নেটিজেনদের

লাল্টু : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে বিশ্বজুড়ে। বাদ পড়েনি ভারতও। আর এহেন মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য লকডাউনের পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। লকডাউন এক-দু’দিনের জন্য নয়, একেবারে ২১ দিনের জন্য। কারণ এছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো পথ নেই বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যতদিন না কোনরকম প্রতিষেধক অথবা ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে এই ভাইরাস ততদিন মানুষের রাতের ঘুম কাড়বে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। তাই বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে লকডাউনের শর্ত মেনে চলুন, নিজেকে বাঁচান, নিজের পরিবারকে বাঁচান, প্রতিবেশীদের বাঁচান, দেশকে বাঁচান।

আর এটাও অনস্বীকার্য যে দীর্ঘদিনের এই লকডাউনে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা। তাদের না আছে ঠিকঠাক সঞ্চয়, না আছে হাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু এছাড়া এই মুহূর্তে সরকারের কাছে আর কোনোও রাস্তাও খোলা নেই। যে কারণে তাদের জন্য কেন্দ্র থেকে রাজ্য সব সরকারই নানান প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি এই সকল মানুষগুলির পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন বেশকিছু সমাজদরদী মানুষেরাও। ঠিক তেমনই এক যুবক এই সকল মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ালেন।

বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের সাগর কুন্ডু নামে এক যুবক এই সকল আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বৃহস্পতিবার তার এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছে যান তার মাকে সঙ্গে নিয়ে। আর সঙ্গে ছিল ৫ কেজি ওজনের ৫০০ ব্যাগ চাল। যেগুলি তারা এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এক এক করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে বিলি করেন। পাশাপাশি বার্তা দেন, লকডাউন চলাকালীন যেন তারা বাড়ি থেকে বের না হন। সরকারি নির্দেশিকা যেন ঠিকঠাক মেনে চলেন।

সাগর কুণ্ডুর মা কমলা কুণ্ডু এই ভাবে ছেলের সাথে গিয়ে পরিবার পিছু ৫ কেজি করে চাল দেওয়ার পর জানান, “ছেলের ইচ্ছা অনুসারে আজ আমরা এই কাজটা করলাম। এখানকার এই সকল মানুষেরা দিন আনে দিন খায়। আর এই মুহূর্তে তাদের কাছে কোন কাজ নেই। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সামাজিক কর্তব্য। আগামীদিনে যদি আরও প্রয়োজন আমরা চেষ্টা করবো পাশে থাকার।”