Adani Vs Ambani: হঠাৎ এই দেউলিয়া কোম্পানি কিনতে কেন মরিয়া হয়ে উঠলেন আম্বানি আদানি

Adani-Ambani face off again to buy bankrupt power company : এই মুহূর্তে ভারত তথা পৃথিবীর অন্যতম সেরা দুই ব্যবসায়ী হলেন মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি। তবে এক দেউলিয়া হওয়া বিদ্যুৎ সংস্থা কিনতে মুখোমুখি সংগ্রামে নামলো মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানির সংস্থা (Adani Vs Ambani) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আদানি পাওয়ার। এছাড়াও টরেন্ট পাওয়ার, বেদান্ত এবং জিন্দাল পাওয়ার-সহ মোট 14টি কোম্পানি গুজরাট-ভিত্তিক ভদ্রেশ্বর বিদ্যুৎ কেনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। এমনকি রিপোর্টে এটাও দাবি করা হয়েছে যে, ভদ্রেশ্বর বিদ্যুৎ বর্তমানে দেউলিয়া হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ভারতের দুটি ধনী ব্যক্তি বিদ্যুৎ খাতের দেউলিয়া কোম্পানির অধিগ্রহণ করতে এই নিয়ে তিন তিন বার মুখোমুখি হয়েছে। এর আগেও অর্থাৎ ভদ্রেশ্বর বিদ্যুৎ কেনার আগে এসকেএস পাওয়ার এবং ল্যাঙ্কো অমরকন্টক পাওয়ার কেনার সময়ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আদানি গ্রুপ (Adani Vs Ambani) এই নিলামে মুখোমুখি হয়েছিল। এবার উভয়ক্ষেত্রেই দুটি কর্পোরেটের মধ্যে কোনওটিই আগ্রাসীভাবে বিড করেনি বলে দাবি করা হয়েছে।

গুজরাট ভিত্তিক এই ভদ্রেশ্বর বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে রিলায়েন্স এবং আদানি গ্রুপ (Adani Vs Ambani) ছাড়াও শেরিশ টেকনোলজি, জেপি ইসকন, কান্ডলা এগ্রো অ্যান্ড কেমিক্যালস, কচ্ছ কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজও প্রাথমিক ভাবে বিড জমা করেছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি হলো, শেরিশ টেকনোলজি বর্তমানে অনিল জৈনের রেফেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ২২.৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে।

জানেন কি ভদ্রেশ্বর বিদ্যুতের আগের নাম কি ছিল? এর নাম ছিল ওপিজিএস পাওয়ার গুজরাট। কোম্পানির গুজরাটের কচ্ছতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। যার প্রত্যেকটি ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। এই বিদ্যুত কেন্দ্রগুলির মধ্যে প্রথম ইউনিটটি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বসানো হয়েছিল। ইরকা রেটিংস একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, সমস্ত প্রকল্প সম্পন্ন করতে কোম্পানিটির খরচ হয়েছে ২,০২৬ কোটি টাকা।

কিন্তু বড় কথা হলো কোম্পানির ঋণের পরিমাণও তো কম নয়। বিগত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সংস্থার ঋণ অ-পারফর্মিং হিসাবে লিস্টেড হয়। এছাড়া পরে আবার সংস্থাটি ঋণের প্রস্তাবও দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ ঋণদাতা কোম্পানির এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ফলে পুনরায় ঋণ পায়নি এই কোম্পানিটি।এই ডুবন্ত কোম্পানি কিনতেই মুখে রয়েছে ভারতের সবথেকে বড় দুই ধনী ব্যবসায়ী আম্বানি ও আদানি (Adani Vs Ambani)।