সামনে এলো Covishield করোনা টিকার আসল খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভারত সরকারের তরফ থেকে প্রথম করোনা টিকা হিসাবে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনাকার তৈরি করোনা টিকা Covishield-কে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র দেয়। DCGI-এর তরফ থেকে সমস্ত তথ্য দেখার পর এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে এই করোনা টিকার ১ বিলিয়ন ডোজ। যা জরুরী ব্যবহারে বিশ্বের বিভিন্ন নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তবে এই টিকাকে ভারত সরকারের তরফ থেকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই এর দাম সম্পর্কে বহু মানুষ কৌতুহল হয়ে পড়েন। দাম সম্পর্কে ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা আগেই জানিয়েছিলেন, ‘ভারতে এর দাম তিন মার্কিন ডলারের বেশি হবে না।’ অর্থাৎ এর দাম ২১৯-২২৫ টাকার মধ্যেই হওয়ার কথা।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এই টিকার কত ডোজ নিতে এবং মোট খরচ কত হবে?

ডোজ সম্পর্কে ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ET NOW-কে জানিয়েছেন, “এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ২.৫-৩ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। যার পরে এই টিকা ৯০% কার্যকর হবে।”

দাম সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, “ভারত সরকারকে আমরা এই টিকার প্রতি ডোজ ২০০ টাকায় বিক্রি করবো। আর প্রাইভেট অর্থাৎ খোলাবাজারে এর দাম হবে প্রতি ডোজ ১০০০ টাকা।” অর্থাৎ ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালার কথা অনুযায়ী এক এক জনকে টিকা দিতে সরকারের খরচ হবে ৪০০ টাকা। আর যখন খোলা বাজারে এই টিকা উপলব্ধ হবে তখন কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিনলে মোট খরচ পড়বে ২০০০ টাকা। তবে সরকারিভাবে যারা টিকা নেবেন তাদের কোন খরচ হবে না বলে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন।

যদিও ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, “এখন এই টিকা কেবলমাত্র সরকারকে সাপ্লাই দেওয়ার জন্যই ছাড়পত্র পেয়েছে সংস্থা। খোলাবাজারে এই টিকা উপলব্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো রকম ছাড়পত্র মেলেনি।”