কোটা দেখিয়ে ভর্তি বন্ধ, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের, আপনার কি মতামত

নিজস্ব প্রতিবেদন : কোটা অর্থাৎ সংরক্ষণের প্রয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল, কলেজে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি হয়ে থাকে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে। সংরক্ষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ যখন দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে সেই সময় কেন্দ্র সরকারের নয়া নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হচ্ছে জল্পনা।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, বিশেষ সংরক্ষণ প্রয়োগ আপাতত স্থগিত থাকলো। বিশেষ এই সংরক্ষণ প্রয়োগ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা দেশের প্রতিটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি রাজ্যসভায় বিজেপি সংসদ তথা বর্ষিয়ান নেতা সুশীল কুমার মোদী এই সংক্রান্ত আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৮৮০ জনের যে সাংসদ কোটা রয়েছে তা তুলে নেওয়া হোক। তবে শুধু সাংসদ কোটা নয়, ভর্তির ক্ষেত্রে এই ধরনের ১৫ থেকে ১৬ রকমের কোটা রয়েছে। সেই সকল কোটাগুলিও আগামী দিনে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ভর্তির এই কোটা তুলে দেওয়া নিয়ে লেখা হয়েছে, “নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সদর দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী জানানো হচ্ছে, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বিশেষ সংরক্ষণে কোনও পড়ুয়াকে ভরতি নেওয়া যাবে না (৮, ৯, ১০, ১১ পাতা পার্ট বি-এর প্রথম অনুচ্ছেদ)।”

তবে আপাতত এই কোটা দেখিয়ে ভর্তি করার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সংরক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তি অথবা চাকরিতে নিযুক্ত হন কম যোগ্য প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে ওই প্রার্থীর তুলনায় আরও বেশি যোগ্যপ্রার্থী বঞ্চিত হয়ে থাকেন। সেই জায়গায় কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের কি মতামত?