পিছু হঠলো তালিবানরা, বিদ্রোহীদের হামলায় তিন জেলা হাতছাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদন : তালিবানদের সন্ত্রাসে দেওয়ালে পিঠ থেকেছে আফগানিদের। নিজেদের এই সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি জীবনকে তুচ্ছ করে তালিবানদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিমানের ডানায়, চাকায় জড়িয়ে অন্যদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় প্রাণ হারাতে হচ্ছে এসকল আফগানিদের। তবে এমন পরিস্থিতিতে এই হঠাৎ প্রতিরোধ গড়ে উঠলো সেই দেশে।

জানা যাচ্ছে, কাবুলের করার পাঁচ দিনের মধ্যেই এই প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এমনকি প্রতিবাদীদের হামলায় তিন জেলা হাতছাড়া হয়েছে তালিবানদের। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম আভাস্কা-র দাবি করেছে, পাবলিক রেজিসট্যান্স ফোর্সের নেতা খেইর মহম্মদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠেছে তালিবানরা। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, এই গুলির লড়াইয়ে একাধিক তালিবানের মৃত্যু হয়েছে।

তালিবানরা ইতিমধ্যেই কাবুল সহ অধিকাংশ জায়গা নিজেদের দখলে আনলেও উত্তর আফগানিস্তান নিজেদের দখলে আনতে পারে নি। আর এই অঞ্চলেই তাদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে পঞ্জশির প্রদেশে আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদেরর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমরুল্লা সালেহ বিরোধীদের সংগঠিত করার কাজ চালাচ্ছেন।

আফগান ওই সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে তালিবানদের সাথে প্রতিবাদীদের গুলি বিনিময় শুরু হয় পাহাড় ঘেরা পোল-হে-হেসার, দে সালহা এবং বানুতে। এই এলাকায় তালিবানদের রুখে দিতে ময়দানে নামে নর্দান অ্যালায়েন্স। আর এই এলাকা থেকেই শেষ পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে বাঘলান প্রদেশের এই তিন জেলা থেকে পিছু হঠেছে তালিবানরা। এমনকি এই লড়াইয়ে শতাধিক তালিবান জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।