নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙ্ক হোক অথবা যেকোনো ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেকের উপর কড়া নজরদারি চালিয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। যাতে সাধারণ মানুষদের টাকা পয়সা পুরোপুরি ভাবে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে এমন নজরদারি চালানো হয়। আর সেই নজরদারিতে কোথাও কোনো রকম অসঙ্গতি দেখলেই নেওয়া হয় কড়া ব্যবস্থা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এমন নজরদারি চালানোর সময় পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Payments Bank) অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাদের এই অসঙ্গতি এতটাই গুরুতর যে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেয় রিজার্ভ ব্যাংক অফ। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের আওতায় থাকা পরিষেবা পাওয়া গেলেও তা আর পরে পাওয়া যাবে না। তবে শুধু পেটিএম নয়, পাশাপাশি আরও চারটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের উপরেও বড় পদক্ষেপ নিল রিজার্ভ ব্যাংক।
৩১ জানুয়ারি পেটিএম-এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর আবার ১ ফেব্রুয়ারি ওই চারটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের উপর কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে চারটি কো-অপারেটিভ ব্যাংক হল শিরপুর পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, জনতা সহকারী ব্যাঙ্ক, নাগরিক সহকারী ব্যাঙ্ক এবং নাসিক ডিস্ট্রিক্ট সরকার ও কাউন্সিল এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। তবে পেটিএম-এর মতো এই চারটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল অথবা আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এক্সপোজারের নিয়ম না মানার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে শিরপুর পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাংকের উপর দু’লক্ষ টাকা জরিমানা চাপানো হয়েছে। আসলে এই ব্যাংক এমন কয়েকজনকে ঋণ দিয়েছিল যারা ব্যাংকের পরিচালন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে এক্সপোজার নিয়ম না মানার জন্য এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে জনতা সহকারী ব্যাংককে।
অন্যদিকে কেওয়াইসি নিয়ম না মানার জন্য এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে নাগরিক সহকারী ব্যাংককে এবং আমানতকারীর শিক্ষা ও সচেতনতা তহবিলে নির্দিষ্ট অর্থ স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে নাসিক ডিস্ট্রিক্ট সরকার ও কাউন্সিল এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ককে। তবে এই সকল জরিমানার প্রভাব গ্রাহকদের ওপর পড়বে না বলেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।