তারা কি পুরাতন দলে ফিরবেন! কি বলছেন রাজীব, বৈশালী, সব্যসাচীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল তৃণমূল তাবড় তাবড় একাধিক নেতা নেত্রী দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে ভোটের আগে গেরুয়া শিবির যে দাবি তুলেছিল সেই দাবির নামমাত্র দেখা যায়নি ভোটের ফলাফলে। দাবি ২০০ পার থাকলেও তাদের থমকে যেতে হয় ৭৭-এ। এরপর দিন কয়েক পার হতেই বেশ কয়েকজন দলবদল নেতা-নেত্রীকে পুনরায় তৃণমূলের ফেরার আবেদন করতে দেখা যায়। কিন্তু বাকিরা? কি বলছেন রাজীব, বৈশালী, সব্যসাচীরা?

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় : বঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর পরেই যিনি সব থেকে বেশি শোরগোল তৈরি করেছিলেন তিনি বলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি এই নির্বাচনে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও বিপুল ভোটে পরাজয়ের মুখ দেখেন। যার পর থেকেই রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে কিছুটা অন্তরালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলে আসবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, ‘এখন আমি করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত রয়েছি। এই পরিস্থিতিতে আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলবো না।’

এমনকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে ভোটের ফলাফলের আগে তার ফেসবুক পোস্টে বিজেপির লোগো লাগানো থাকত। কিন্তু ভোটে বিজেপি শাসকদল হয়ে না ওঠার পরেই তার পরবর্তী পোস্টগুলিতে আর সেই সকল বিজেপির লোগো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যার পড়ে তাকে নিয়ে অবশ্যই জল্পনা থেকেই যায়।

অমল আচার্য : ভোটের টিকিট না পেয়ে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে ভোটের ফলাফলের পর তিনি পুরাতন দলে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরত আসার জন্য চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

দীপেন্দু বিশ্বাস : টিকিট না পেয়ে দীপেন্দু বিশ্বাসও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও ভোট মিটে যাওয়ার পরেই তিনি গেরুয়া শিবিরের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। তিনি নারদ কান্ডে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনিও তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

সব্যসাচী দত্ত : তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের মধ্যে সব্যসাচী দত্ত বেশ কয়েকটা বছর আগেই মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। এবার তিনি গেরুয়া শিবিরের হয়ে বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর কাছে থাকে পরাজিত হতে হয়। সব্যসাচী দত্ত অবশ্য বিজেপি ত্যাগ করার অথবা তৃণমূলের ফিরে আসার কোনরকম ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।

বৈশালী ডালমিয়া : একুশের বিধানসভা ভোটের আগে হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে উঠতে দেখা যায় বালির প্রাক্তন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। দলের বিরুদ্ধে একাধিক কথা বলায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তিনি পরে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে পুনরায় বালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ পেলেও সেখানে তাকে পরাজিত হতে হয়। বৈশালী ডালমিয়াও বিজেপিতেই থাকছেন বলে দাবি করেছেন।

অরিন্দম ভট্টাচার্য : ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবার নির্বাচনে পরাজিত হলেও তিনি তৃণমূলে ফিরছেন না এমনটাই দাবি করেছেন।