ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হলেও মার্চের ১ তারিখ থেকে আচমকাই ভোলবদল আসে। মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একলাফে ৩৪ ডিগ্রি পার করে যায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াই যে শীতবস্ত্রের পাশাপাশি লেপকাথা তুলে দেওয়ার মত সময় চলে আসে। তবে এরই মধ্যে দুদিন যেতে না যেতেই ফের আবহাওয়া বদল।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মার্চ মাসের ২ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ফের হালকা হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হতে শুরু করে। মূলত দিনভর ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকার কারণেই নতুন করে তাপমাত্রার পারদ নামে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তাপমাত্রার পারদ নামতেই ফের দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম সহ বিভিন্ন জেলাতে সকাল ও রাতে হালকা শীত শীত অনুভূত হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: Gaddafi Stadium: ১২৮০ কোটির গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মার্চ মাসের ১ ও ২ তারিখ ৩৪ ডিগ্রি পার করেছিল। তবে ঝড়ো হাওয়ার কারণে এই জেলায় নতুন করে তাপমাত্রার পারদ নামার ফলে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও মার্চ মাসের ১ ও ২ তারিখের তুলনায় কিছুটা হলেও তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। ফলে হঠাৎ করে যে হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়েছিল তা থেকে আপাতত রেহাই মিলেছে।
যদিও আবহাওয়া দপ্তর যে পূর্বাভাস দিয়েছে সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় তাপমাত্রার পারদ দক্ষিণবঙ্গে সামান্য কমলেও আবার সপ্তাহের শেষের দিকে তাপমাত্রার পারদ বাড়বে। সুতরাং আপাতত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির বাসিন্দারা হাঁসফাঁস গরম থেকে রক্ষা পেলেও এই স্বস্তি খুব বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
মঙ্গলবার বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১.৩ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে বুধবার বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ ডিগ্রি। বুধবার বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ০.৩ ডিগ্রি কম রয়েছে।