রাজ্যের এই সকল রেশন উপভোক্তাদের মাথায় হাত, আর মিলবে না বিনামূল্যে রেশন!

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে ন্যূনতম চাহিদা হিসাবে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী পান তার জন্য রয়েছে রেশন (Ration) ব্যবস্থা। খাদ্যের অধিকারের যে আইন দেশের রয়েছে তা রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমেই পূরণ করা হয়। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের ৮০ কোটির বেশি মানুষকে সস্তা অথবা বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী নিয়ম রয়েছে। যদিও কোভিড কাল থেকে এই সকল প্রতিটি উপভোক্তাই বিনামূল্যে চাল গম পেয়ে আসছেন।

কেন্দ্র সরকারের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি রাজ্য সরকারও এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে থাকে। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ২ কোটি রেশন উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো যারা আর বিনামূল্যে চাল গম পাবেন না। কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল? এই তালিকায় আপনার নাম নেই তো?

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০ কোটি ৩৭ লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন যাদের নাম রেশন ব্যবস্থা নথিভুক্ত। এই সকল উপভোক্তাদের সঠিক সময়ে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার জন্য প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে এই তালিকায় বহু রেশন উপভোক্তা রয়েছেন যাদের কোন অস্তিত্ব নেই। হয় তারা মারা গিয়েছেন অথবা একই ব্যক্তির নামে একের বেশি রেশন কার্ড রয়েছে।

সম্প্রতি ছাড়াই-বাছাই করে দেখা গিয়েছে এই ধরনের রেশন উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় দু’কোটি। এই সকল উপভোক্তাদের নাম এবার রেশন তালিকা থেকে মুছে ফেলল রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর। এই সকল ভুয়ো উপভোক্তাদের নাম মুছে ফেলার ফলে তারা আর বিনামূল্যে চাল গম পাবেন না। তারা বললে ভুল হবে, ভুয়ো উপভোক্তারা পাবেন না। এই সকল উপভোক্তাদের নাম রেশন তালিকা থেকে মুছে দেওয়ার ফলে রাজ্য সরকারের প্রতিবছর ৩৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানা গিয়েছে।

ভুয়ো এই সকল রেশন উপভোক্তাদের নাম রেশন তালিকা থেকে মুছে দেওয়ার ফলে বর্তমানে রাজ্যের মোট রেশন উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৭৮ লক্ষ। সাধারণত একেক জন উপভোক্তা পিছু সরকারের তরফ থেকে পাঁচ কেজি করে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়ে থাকে। নিয়ম অনুসারে এক একজন উপভোক্তার জন্য প্রতি মাসে ১৫০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। আবার একইভাবে আলাদা করে কেন্দ্রের তরফ থেকেও খরচ করা হয়। সুতরাং এই সকল ভুয়ো রেশন উপভোক্তাদের নাম তালিকা থেকে মুছে দেওয়ার ফলে দুই সরকারেরই বিপুল পরিমাণ অর্থ বেঁচে যাবে।