একুশের বাংলার দায়িত্বে বিজেপির এই ৫ ধুরন্ধর নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিহারের বিধানসভা দখলের পর এবার বিজেপির চোখ বাংলার বিধানসভায়। আর বাংলা বিধানসভা ভোটের দাদামা স্বয়ং বাজিয়েছেন অমিত শাহ। যে কারণে একুশের এই বিধানসভাকে সামনে রেখে এবার বঙ্গ বিজেপি-র রাশ তুলে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় পাঁচ বিজেপি নেতার হাতে।

এই পাঁচ নেতা হলেন সুনিল দেওধর, বিনোদ সোনকার, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনোদ তাওরে এবং হরিশ দ্বিবেদী। আর এই নেতাদের হাতে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব যাওয়ার পরেই তৃণমূল বহিরাগত তত্ব তুলে কটাক্ষ করেছে বিজেপিকে।

এই ৫ জন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যে সুনিল দেওধর এবং বিনোদ তাওরে সর্বভারতীয় স্তরে খুব পরিচিত মুখ। সুনিল দেওধর চোদ্দর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির হয়ে বারাণসীতে ভোটের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ত্রিপুরার দায়িত্ব পান। বিনোদ তাওরে হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে আবার দুষ্মন্ত গৌতম মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন।

পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোনরকম ফাঁকফোকর না রাখতে চারটি জোনে বাংলাকে পর্যবেক্ষণে রাখছে বিজেপি। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলিকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি জোন। দ্বিতীয় জোন হচ্ছে কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনাকে নিয়ে। উত্তরবঙ্গের জন্য থাকছে তৃতীয় জোন এবং বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং দুই বর্ধমানকে নিয়ে হচ্ছে চতুর্থ জোন।

এই চারটি জোনের মধ্যে প্রথমজনের দায়িত্বে থাকবেন সুনিল দেওধর, দ্বিতীয় জোনের দায়িত্বে থাকবেন দুষ্মন্ত গৌতম, তৃতীয় জোনের দায়িত্বে থাকবেন হরিশ দ্বিবেদী এবং চতুর্থ জোনের বিনোদ তাওরে বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।

তবে বিজেপির তরফ থেকে ধুরন্ধর ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হলেও তৃণমূল তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। তৃণমূল নেতাদের দাবি, বহিরাগতদের দিয়ে বাংলায় ভোট করানো যাবে না। বাংলার মানুষ সচেতন। সুতরাং তারা তৃণমুলকেই বেছে নেবেন। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২২০ থেকে ২৩০ টি আসন পাবে।