ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই দেশের ১৩০০-র বেশি স্টেশনকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সংকল্প গ্রহণ করেছে। সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন প্রান্তে স্টেশন সংস্কারের কাজ চলছে জোরকদমে। স্টেশনগুলির আশপাশে বসবাসকারী মানুষ থেকে শুরু করে প্রতিদিনের যাত্রীরা এই উন্নয়নে খুশি। সূত্রের খবর, ‘অমৃত ভারত প্রকল্প’-এর অধীনে প্রথম ধাপে ১০০টি স্টেশনকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৩টি স্টেশনও। উল্লেখযোগ্যভাবে, তার একটি স্টেশনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।
অমৃত ভারত প্রকল্পের মূল লক্ষ্য:
প্রায় দুই বছর আগে ভারতীয় রেল ‘অমৃত ভারত প্রকল্প’ চালু করে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল দেশের ১৩০০-রও বেশি স্টেশনকে আধুনিক এবং আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা। স্থানীয় শিল্প, সংস্কৃতি এবং যাত্রী-সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিটি স্টেশনের পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যাত্রীদের উন্নত মানের পরিষেবা দিতে এবং স্টেশনগুলিকে পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতেই এই প্রয়াস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি স্টেশনের আধুনিকীকরণে থাকছে চলমান সিঁড়ি, হাইস্পিড ইন্টারনেট, উন্নত আলোকসজ্জা, ফুট ওভারব্রিজ, রুফ প্লাজা, খাবারের কোর্ট, কিয়স্ক, শিশুদের খেলার স্থান সহ আরও নানা সুবিধা।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ থেকে সরাসরি দিঘা পৌঁছানো হবে আরও সহজ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ৬টি ভলভো বাস পরিষেবা
এই ১০০ স্টেশনের তালিকায় বাংলার ৩টি স্টেশন:
প্রাথমিক পর্যায়ে যে ১০০টি স্টেশন উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি স্টেশনও রয়েছে। এই স্টেশনগুলিতে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হবে। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি স্টেশনের প্রবেশদ্বার নির্মিত হচ্ছে মডেল গেটওয়ের আদলে।
ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে একটির কাজ;
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনের উন্নয়নের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এই স্টেশনটি ‘অমৃত ভারত প্রকল্প’-এর আওতায় বাংলার মধ্যে প্রথম যার সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। স্টেশনের সার্বিক পরিষেবা উন্নত করা হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করতে সম্প্রতি শিয়ালদহের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা স্টেশনটি পরিদর্শন করেন। জানা যাচ্ছে, আগামী ২২ মে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই স্টেশন সহ অন্যান্য স্টেশনগুলির উদ্বোধন করবেন।