ভয়ঙ্কর বন্যায় গৌলা নদীতে আটকে অসহায় হাতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : সপ্তাহ খানেক ধরে দেশের বেশ কিছু রাজ্য অতিবৃষ্টিতে নাজেহাল। এই সকল রাজ্যের তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, কেরল। তবে সব থেকে খারাপ অবস্থা উত্তরাখণ্ডের। গত তিনদিন ধরে উত্তরাখণ্ডে অতিবৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গা চলে গিয়েছে পুরোপুরি জলের তলায়, আবার কোন কোন এলাকা হড়পা বানের শিকার। বহু এলাকায় ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। এখানকার নদ-নদীগুলি বর্তমানে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।

আর এমন এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরে এসেছে এক বনদপ্তরের অফিসারের দৌলতে। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নৈনিতালের বিখ্যাত নদী গৌলা নদীতে এই ভয়ঙ্কর বন্যায় অসহায় ভাবে আটকে পড়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি। নদীর মাঝে একটি পলিদ্বীপের উপর ওই হাতিটি আটকে পড়েছে। এদিকে জলের যা গতি তাতে ওই হাতিটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করা অথবা তার নিজের ক্ষমতায় উঠে আসা এক প্রকার অসম্ভব।

মর্মান্তিক ভয়ঙ্কর এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার সুরেন্দ্র মোহরা। এমন অবস্থায় দেখে স্বাভাবিকভাবে তার মনখারাপ হয়ে গিয়েছে এবং তিনি এই ভিডিও আপলোড করেছেন। তার এই ভিডিও দেখে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্যদেরও মন খারাপ।

তবে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে কাটিয়েও ওই হাতিটি শেষ পর্যন্ত ওই নদী থেকে উঠে জঙ্গলে যেতে সক্ষম হয়। এই খুশির খবরটি ভিডিওটি আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন ওই ফরেস্ট অফিসার। তিনি লিখেছেন, “উত্তরাখণ্ডের ফুঁসতে থাকা নদীতে আটকে পড়া ওই হাতিটি শেষ পর্যন্ত নদী পার করে জঙ্গলে যেতে সক্ষম হয়।”

প্রথমদিকে ওই হাতিটির এইভাবে আটকে যাওয়ার খবরে যেমন নেটিজেনদের মনকে অবসাদ, দুঃখ ঘিরে ধরেছিল, ঠিক তেমনই ওই হাতিটির এমন ভয়ঙ্কর নদীর জলকে জয় করে নিজের জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার খবর আনন্দ এনে দিয়েছে। তবে হাতিটি জঙ্গলে যেতে সক্ষম হলেও বনকর্মীরা এমন ঘটনার খবর পেয়ে তার ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।

হলদওয়ানির ডিএফও সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন, “খবর পেয়েই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। হাতিটি নদী পার করে দেব রামপুরার দিকে চলে যেতে পেরেছে। বনকর্মীরা তাকে সাহায্য করে জঙ্গলে ফিরতে। হাতিটির গতিবিধি লক্ষ্য করা হচ্ছে।”