ঐন্দ্রিলার পাশে এইভাবে সব্যসাচীকে দেখে অবাক অনিন্দ্য, লিখলেন খোলা চিঠি

গত দিন কয়েক ধরে ঐন্দ্রিলা শর্মার স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো আপডেটই ভালো শোনাচ্ছে না। চিকিৎসকেরাও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। ১লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই আন্দুলের নারায়াণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। মাঝে অবস্থা একটু ভালো হলেও আবার নতুন করে জ্বর আসায় ভেন্টিলেশনের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। আর বরাবরের মতো প্রথমদিন থেকেই ঐন্দ্রিলার পাশে ছায়ার মতো লেগে রয়েছেন সব্যসাচী।

ভক্তকুলের আশঙ্কা বাড়িয়ে সোমবার সব্যসাচী এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কোনওদিন এটা এখানে লিখবো ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন। মিরাকেলের জন্য প্রার্থনা করুন। অলৌকিক কিছু একটা ঘটনা ঘটুক, প্রার্থনা করুন। সব কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে ও অতিমানবীয় লড়াই লড়ছে’। এই পোস্টের পর থেকেই অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ঐন্দ্রিলা-ভক্তদের। সেই সাথে প্রার্থনা করছেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও।

এ দিন ফেসবুকে কলম ধরলেন সব্যসাচীর সহঅভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কিছুই লিখিনি ফেসবুকে। খালি মনে মনে প্রার্থনা করে গিয়েছি যেন মেয়েটা সুস্থ হয়ে ওঠে তাড়াতাড়ি। আজকে শট দিতে যাওয়ার আগে সব্যসাচীর পোস্টটা বুকে লাগলো আবার। একটাই প্রার্থনা ঐন্দ্রিলা আগেও যেভাবে ফিরে এসেছে, এবারও যেন সেটার পুনরাবৃত্তি হয়।’ পরে আর যোগ করেন, ‘আর সব্যসাচীকে দেখে অবাক হয়ে যাই। ভগবান আর এঁদের মতন প্রেমিক বানায় না। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কাকে বলে এরাই জানে। পাশে দাঁড়াতে এরাই জানে। আমরা খালি ফেসবুক করি। লজ্জা হয় আয়নার সামনে দাঁড়াতে।’

পূর্বে দুই দুই বার ক্যান্সারকে হারিয়ে ফিরেছেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু এবার আক্রান্ত ব্রেন স্ট্রোকে। ভগবান যেন বেছে বেছে তার বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানায়। আপাতত হাওড়ার আন্দুলের নারায়াণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। সেখানে আইসিইউ-তে ‘সি প্যাপ’ সাপোর্টে রয়েছেন অভিনেত্রী। মাথায় অনেকটা অংশে ব্লাড ক্লট হয়ে আছে। বর্তমানে কোমায় রয়েছেন অভিনেত্রী।

১৪ দিন আগে ঐন্দ্রিলা নিজের বাড়িতে অসুস্থ হওয়ার পর তার মা ফোনে ডাকেন সব্যসাচীকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যান সব্যসাচী। আগের বারের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সময়ের মতো সর্বক্ষণ ঐন্দ্রিলার সাথে রয়েছেন। সব্যাসাচীর কথায় অনুযায়ী, ভক্ত, অনুরাগী, সহকর্মী সকলেই ‘অলৌকিক’ কিছু ঘটার প্রার্থনায় রয়েছেন।