হোয়াটসঅ্যাপে দেশবিরোধী পোস্ট! ভাইরাল হওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকাকে বরখাস্ত

ভারত-পাক উত্তেজনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যাপিকা, মিস এস লোরা, বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিকেশন ইংলিশ, ভার্বাল অ্যাপটিটিউড ও শিশু সাহিত্যের অধ্যাপনা করতেন। সম্প্রতি তিনি তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে একাধিক বিতর্কিত বার্তা শেয়ার করেন।

এক ব্যক্তি এই স্ট্যাটাসগুলির স্ক্রিনশট তুলে এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করেন, যা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁকে সাসপেন্ড করে।

আরও পড়ুন: সব ছুটি বাতিলের খাতায়! অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

কি লেখা ছিল তাঁর পোস্টে?
অভিযুক্ত অধ্যাপিকা স্ট্যাটাসে দাবি করেছিলেন, ভারতীয় সেনা অভিযানের সময় একটি শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। আরও দাবি করেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে দুই সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁর মতে, নিরীহ মানুষের মৃত্যু কখনও সুবিচার বা সাহসিকতার প্রতীক হতে পারে না।

আর কী মন্তব্য করেন তিনি?
তিনি আরও একটি স্ট্যাটাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সম্ভাব্য নেতিবাচক ফলাফল নিয়ে সতর্ক করেন। উল্লেখ করেন, পরবর্তী দশকে অর্থনৈতিক দুরবস্থা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং লকডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ভারতের আর্থিক অবস্থার অবনতি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

অমিত শাহের বার্তা:
৭ মে তারিখে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১০টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড দেখামাত্র কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অমিত শাহ রাত সোয়া নটায় এক্সে পোস্ট করে এই বার্তা জনগণকে জানান।

ঠিক সেই দিন সন্ধ্যায় অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি এক্স প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ করে পোস্ট করেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কেও ট্যাগ করা হয়। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পরেই দ্রুততার সঙ্গে এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপিকাকে বরখাস্ত করে। অভিযুক্তের বরখাস্তের নোটিশের ছবি পোস্টদাতা পরে তার পোস্টের জবাবে প্রকাশ করেন।