আরো পড়ুন: ব্যবহার করতে হবে না আর মোবাইল, কিসের সন্ধান দিলেন মার্ক জুকারবার্গ?কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করা হয় মাছ। গোটা দেশ জুড়ে এই একই পদ্ধতি চলে আসছে। চাষ করার সময় বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অনেক সময় মাছের উপর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু জলাশয়ে মাছ চাষের সময় ঠিক কতটা পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) দিতে হবে তা জানে না অনেক চাষী। যারা জেনে বুঝে সঠিক পরিমাপে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন তাদের চাষ করা মাছ খেলে শরীরে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু যারা না জেনে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন তাদের চাষ করা মাছগুলো খেলে শরীরে সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মাছেদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে। সেই ব্যাকটেরিয়াগুলি মাছের সাথে সাথে সরাসরি প্রবেশ করছে মানব শরীরেও। যার ফলে সেই ব্যাকটেরিয়ার কারণে তৈরি হওয়া কোন রোগ সারানোর জন্য বাইরে থেকে কোন ওষুধ প্রয়োগ করলেও কোন লাভ হচ্ছে না। হু-এর পক্ষ থেকে বহুদিন আগেই এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কিছু সংস্থা সতর্কতা অবলম্বন করেছে। কিন্তু এখনও এমন বহু মৎস্যজীবী রয়েছেন যারা অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ব্যবহার করে চলেছেন। যেহেতু এই ঘটনার সাথে মানব স্বাস্থ্যের বিষয়টিও যুক্ত হয়ে গেছে, তাই মৎস্য চাষীদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এখন থেকে মাছ চাষের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে প্রত্যেক চাষিকেই।
Antibiotics: মাছ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক, ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মানবদেহে

Antibiotics: মাছেদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক, মানবদেহে পড়ছে ক্ষতিকর প্রভাব। কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালি আর মাছ ভাতের সম্পর্কটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে একে অপরের সঙ্গে। তা সে রুই, কাতলাই হোক অথবা চিংড়ি বা কোন ছোট মাছ। পাতে মাছ না থাকলে সেদিনের খাবারটা যেন ঠিকমতো হয় না বাঙালির। তবে এই মাছই যদি অসুস্থতার কারণ হয়, তাহলে কি করবেন? যেই মাছ না খেলে খাবার খেয়েও তৃপ্তি পায়না বাঙালি সেই মাছই মানব শরীরের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।বিভিন্ন জায়গায় মাছ চাষ করা হয় মাছ চাষের সময় বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ব্যবহার করা হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানবদেহ। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক মাত্রা জানেন না অনেক মাছ চাষী। যার কারণে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করছেন অ্যান্টিবায়োটিক। যে সমস্ত মাছের উপর এই অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব পড়ছে সেই সমস্ত মাছ খেলেই পরোক্ষভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে মানব শরীরে। এর ফলে হওয়া অসুস্থতার কোন চিকিৎসা নেই। কোন প্রকার ওষুধে সারছে না রোগ।এই ঘটনা কিন্তু শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে না। ঘটছে গোটা দেশ জুড়ে। তাই গোটা দেশই এই বিষয় নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। তাই সকল মাছ চাষীদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করেছে আইসিএআর সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিসারিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। কেন্দ্রীয় গবেষণার সাথে জড়িত এই সংস্থার দাবি অনুযায়ী, কিছুদিন আগেই গোটা দেশজুড়ে পালন করা হল বিশ্ব মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ। এই সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্যই হলো মৎস্য চাষীদের অ্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা।