৫ মিনিটের হাঁটা স্কুলেও যেতেন না, কোন স্কুলে কর্মরত অনুব্রত সুকন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছরের। এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই বেশ মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারী সহ শতাধিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। মামলায় জয়যুক্ত হয়ে নিজেদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। আর এবার এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ উঠল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলের বিরুদ্ধে।

গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার রেস কাটতে না কাটতেই অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারকে বিঁধতে শুরু করেছে এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। বুধবার এক মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেখানে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রত মণ্ডলের আরও পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে টেট পাস না করেও শিক্ষক হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এদের বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত নথি সহ।

ওই মামলাকারীর এমন মামলার অভিযোগের পর অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের চাকরি নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকন্যা মন্ডলের শিক্ষিকা হিসাবে চাকরি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘আমি তো জানতামই না। এই প্রথম শুনলাম। উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। এখন খোঁজ নিয়ে দেখি কী অবস্থা।’

অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ২০১২ সালে তিনি শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এই স্কুল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের নিচু পট্টির বাড়ি পায়ে হেঁটে পাঁচ মিনিট। কিন্তু এই হেঁটে পাঁচ মিনিটের এই স্কুলে সুকন্যা যেতেন না বলেই অভিযোগ। অভিযোগ তার বাড়িতেই চলে আসতো স্কুলের হাজিরার খাতা এবং বাড়িতে বসেই হাজিরা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে বেতন তুলেছেন।

অন্যদিকে এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ছাড়াও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন অনুব্রতর ভাই সুমিত মণ্ডল, ভাইপো সাত্যকী মণ্ডল, নেতার পিএ অর্ক দত্ত, কস্তুরী চৌধুরী ও সুজিত বাগদি। তালিকায় থাকা প্রথম দুজন অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয় এবং বাকিরা অনুব্রত মন্ডল ঘনিষ্ঠ।