ক্যারাটেতে ব্ল্যাকবেল্ট, বিধায়ককে কষিয়ে থাপ্পড়, দাবাং IPS সোনিয়ার পাল্লায় এবার অনুব্রত

নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, তা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তবে বিভিন্ন কারণে তা আটকে পড়লেও শেষমেষ দোলের দিন অনুব্রত পৌঁছে যান দিল্লি (Delhi)। সেখানে পৌঁছাতেই তাকে জেরা করা নিয়ে শুরু হয় ইডি আধিকারিকদের তৎপরতা। ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে ৬ সদস্যের একটি টিম তৈরি করা হয় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। আর এই টিমকে লিড দিচ্ছেন দুঁদে IPS অফিসার এবং ED-র স্পেশাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাং (Sonia Narang IPS)। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে।

সোনিয়া নারাং অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে ওই আইপিএস অফিসারকে নিয়ে কৌতুহল তৈরি হচ্ছে। সেই সকল কৌতূহলের পরিপ্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, সোনিয়া দুঁদে IPS অফিসার, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট। ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। সমাজবিজ্ঞানে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত।

ছত্তিশগড়ে বড় হয়ে ওঠা সোনিয়া ২০০৬ সালে Davangere পোস্টেড ছিলেন। সেই সময় তিনি ব্যাপক চর্চায় এসেছিলেন। চর্চায় এসেছিলেন বিজেপি বিজেপি বিধায়ককে কষিয়ে থাপ্পড় মারার জন্য। বিধায়ক M. P. Renukacharya থাপ্পড় খেয়েছিলেন আইপিএস অফিসার সোনিয়ার হাতে।

সেই সময় বিরোধী এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে বিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। সেই সময় বিধায়ক এমপি রেনুকাচার্যকে সরে যাওয়ার জন্য বললে তিনি সরেন নি। তখন আইপিএস সোনিয়া তাকে থাপ্পড় মেরে গাড়িতে বসিয়ে দিয়েছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চরম সমালোচনা তৈরি হলেও সাহসিকতার জন্য প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি।

চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা সোনিয়ার বাবাও ছিলেন একজন আইপিএস। ছোট থেকেই পড়াশোনায় দুর্ধর্ষ, দ্বাদশে উত্তর ভারতে প্রথম হয়েছিলেন। ২ বার অসফল হওয়ার পরে ২০০২ সালে আইপিএস হন সোনিয়া। কর্নাটকের লোকায়ুক্ত দুর্নীতি ফাঁসে তাঁর ভূমিকা সকলের নজর কেড়েছিল। বেঙ্গালুরুর PU পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলারও তদন্ত করেছিলেন তিনি। বারবারই নানান কাজের জন্য সংবাদ শিরোনামে এসেছেন এই নারাং।