বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় নাপসন্দ, চাকরি ফিরে পেতে মরিয়া ববিতা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) রায়েই দীর্ঘ চার বছরের লড়াইয়ের ফল পেয়েছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। ২০২২ সালের জুলাই মাসে তার কপালে জুটে ছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চাকরি হারিয়ে ফের বেকার হলেন ববিতা। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়েই চাকরি হারান তিনি।

ববিতা সরকারের চাকরি এখন অনামিকা রায় বিশ্বাসকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতা সরকার চাকরি পাওয়ার পর গত বছর ডিসেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ববিতা সরকারের একটি আবেদন পত্র ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ববিতা যে আবেদন করেছিলেন সেখানে স্নাতক স্তরে তিনি ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু অনামিকা রায় বিশ্বাস সেই দাবিকে ভুল বলে অভিযোগ করেন এবং ববিতার চাকরি তার প্রাপ্য দাবি করে আদালতে মামলা করেন। এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরই ববিতা সরকারের চাকরি কেড়ে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

চাকরি থেকে ববিতা সরকারকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন তাকে দেওয়া প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে। এই টাকা ববিতা সরকারকে দেওয়া হয়েছিল অঙ্কিতা অধিকারীর পাওয়া বেতনের টাকা থেকে। আদালতের এই রায়ের পর স্বাভাবিকভাবেই ববিতা সরকার ভেঙে পড়েন এবং বর্তমানে তিনি তার চাকরি ফিরে পেতে মরিয়া।

ববিতা সরকার এবার তার হারিয়ে যাওয়া চাকরি ফিরে পেতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে মামলা দায়ের করলেন তিনি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার জন্য অনুমতি চেয়েছেন তার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সেই মামলার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তালুকদার।

ববিতা সরকারের বক্তব্য, পাঁচ শতাংশ নম্বর তার ছাড় পাওয়ার কথা। এই বিষয়ে তিনি তার ক্যাটাগরির উল্লেখ করেছেন। তবে ববিতা সরকারের এই বক্তব্য আদালত কতটা পুনর্বিবেচিত করবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ অনামিকা রায় বিশ্বাসের দাবি, এই নম্বরের রিলাক্সেশন অর্থাৎ ছাড়ের আওতায় পড়েন না ববিতা।