বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করলো বিশেষ আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৯৯২ সালের ৬ই জুন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ১০ মাস পর সিবিআই-এর তরফ থেকে মোট ৪৮ জন সহ লাখো অজ্ঞাত পরিচয় করসেবকের নামে চার্জশিট দেয়। চার্জশিটে নাম থাকা ৪৮ জনের মধ্যে ১৬ জন ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। আর বাকি থাকা ৩২ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় ওই পর সেবকদের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা হলো বুধবার। লখনউয়ের সিবিআই আদালতে দীর্ঘ তিন দশক ধরে চলা এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো এদিন।

এদিন বিশেষ আদালতের এই রায়ে জানিয়ে দেওয়া হলো মামলায় অভিযুক্ত লালকৃষ্ণ আডবাণী সহ ৩২ জন অভিযুক্তই নির্দোষ। এই মামলায় নাম ছিল লালকৃষ্ণ আডবাণী ছাড়াও দেশের অন্যতম নেতা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং এবং উমা ভারতীর। এছাড়াও নাম ছিল বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার, সাক্ষী মহারাজ, ভিএইচপি নেত্রী সাধ্বী ঋতম্ভরা এবং রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সভাপতি নিত্য গোপাল দাস ও সম্পাদক চম্পত রাই। অন্যদিকে যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা ছিলেন বিশ্বহিন্দুপরিষদের নেতা অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া এবং শিবসেনা সুপ্রিমো বাল ঠাকরে।

বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রায়দান পর্ব শুরু। রায়দান পর্ব চলাকালীন বর্তমানে জীবিত থাকা ৩২ জন অভিযুক্তদের মধ্যে ২৬ জন অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে মুক্তি পান লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর যোশী। অন্যদিকে উমা ভারতী করোনা আক্রান্ত। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তারা এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের রায় দান শুনছিলেন।

আদালতের বিচারক রায় দেওয়ার সময় জানিয়ে দেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোন প্রমাণ নেই। এমনটা জানানোর পাশাপাশি জানিয়েছেন, এই মামলায় প্রত্যেককে বেকুসুর খালাস করে দেওয়া হলো। বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত নয়। আর এই রায় দেন এরপর এই সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার অবসর নেন।