বৈশাখী অতীত! শোভনের ফোনে অন্য মহিলার খোলামেলা ছবি! শুনলে মাথা হেঁট হয়ে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গ রাজনীতিতে যে সকল চর্চিত ব্যক্তিরা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শোভন চ্যাটার্জী (Sovan Chatterjee)। এই একজন রাজনৈতিক যিনি ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জীর (Baisakhi Banerjee) জন্য বাড়িঘর, সংসার, ছেলে-মেয়ে, বিধায়ক পদ, মেয়র পদ সবকিছু ছেড়ে দিয়েছেন। শোভন চ্যাটার্জী এখন এই বয়সেও জমিয়ে প্রেম করছেন বৈশাখীর সঙ্গে। তবে এবার এই শোভন চ্যাটার্জির ফোনেই নাকি রয়েছে অন্য মহিলার খোলামেলা ছবি!

শোভন চ্যাটার্জির ফোনে রয়েছে অন্য মহিলার খোলামেলা ছবির খবরটি সামনে আসতেই অনেকের মধ্যেই কৌতূহল জাতীয় শুরু করেছে তাহলে কি বৈশাখী ব্যানার্জি এখন অতীত হয়ে গেল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভনের কাছে! বিষয়টি তা নয়। শোভন চ্যাটার্জি কোনভাবেই বৈশাখী থেকে দূর হবেন না এমনটা ঠিকই করে নিয়েছেন। একইভাবে ঠিক করে নিয়েছেন বৈশাখী ব্যানার্জিও। আর শোভন চ্যাটার্জির ফোনে যে অন্য মেয়ের খোলামেলা ছবি রয়েছে তা নিজেই ফাঁস করেছেন সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

ওই সাক্ষাৎকারে বৈশাখী ব্যানার্জি এটাও জানিয়েছেন, শোভন চ্যাটার্জী তাকে ছাড়া নাকি অন্য কোন মহিলাকে কোনদিন আই লাভ ইউ বলেননি। এর পাশাপাশি তার কাছেও একমাত্র ভালবাসা হলো শোভন। এমনকি এই কথা বলার সময় বৈশাখী ব্যানার্জি এটাও জানান, “বিষয়টি খুব নাটুকে মনে হতে পারে কিন্তু তার কাছে ভালোবাসার অর্থই হলো শোভন।”

এখন প্রশ্ন হল, এসবের মধ্যে শোভন চ্যাটার্জির ফোনে অন্য মহিলার নগ্ন ছবির প্রসঙ্গটি আসে কিভাবে? আসলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এমন বিষয় ফাঁস করেন খোদ শোভন বান্ধবী। মূলত কোন একটি অনুষ্ঠানে কোন একজন জনপ্রতিনিধির (মহিলা) সঙ্গে দেখা হয়েছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই জনপ্রতিনিধি নাকি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে জ্ঞান দিতে গিয়েছিলেন। আর এই জ্ঞান দিতে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ফাঁস হয় এমন ঘটনা।

এই স্মৃতি জানাতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সে আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছিল। দুর্ভাগ্যবশত সে এমন একজনকে জ্ঞান দিতে এসেছে, যে শোভনের ফোনে তার সবচেয়ে উন্মুক্ত ছবি আসতে দেখেছে। সে বলল, আই অ্যাম নট চিপ লাইক ইউ। আমি পাল্টা বললাম, একটু দম নাও। মনে রেখো তোমার নগ্ন ছবিগুলো এখনও প্রেজেন্ট রয়েছে। তুমি যদি সতী হও, তাহলে আমি তার চেয়ে অনেক বেশি সতী। আমাকে কোনওদিন নগ্ন ছবি মন্ত্রী বা এমএলএ-র কাছে পাঠিয়ে টিকিট পেতে হয়নি।” তবে বৈশাখী সেই জনপ্রতিনিধির পরিচয় খোলসা না করলেও জানিয়েছেন, তিনি একজন মহিলা কাউন্সিলর।