Bajaj is going to bring new CNG Motorcycle in the market to compete with Hero, TVS: উচ্চ মাইলেজ সম্পন্ন বাইকের কথা বললেই আপনার কোন বাইকের কথা আগে মনে পড়ে? হোন্ডা সাইন বা হিরো স্প্লেন্ডার এর মত বাইক গুলির নাম তাইতো? তেলের খরচ কম হয় বলে ১০০ সিসির বাইক গুলি কেনার প্রতি মধ্যবিত্তদের আগ্রহ একটু হলেও বেশি। কিন্তু হোন্ডা বা টিভিএসের মত বাইক গুলিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নতুন সিএনজি বাইক (CNG Motorcycle) বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে বাজাজ কোম্পানি। বাজাজ কোম্পানির তৈরি করা এই নতুন সিএনজির মোটরসাইকেল (CNG Motorcycle) এর মডেলটি ভারত তথা বিশ্বের প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেল হতে চলেছে।
এতদিন চারচাকা বা তিন চাকার গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এই প্রথম দুই চাকার গাড়িতেও সিএনজির (CNG Motorcycle) ব্যবহার করতে চলেছে ভারত। আর তাই নিয়ে বাজারে উন্মাদনার শেষ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই বাইকের খবর ছড়িয়ে পড়তে যেমন সময় লাগেনি তেমনই ভারতবাসীর উচ্ছাসও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জানা গেছে।
এই বাইকটি (CNG Motorcycle) নিয়ে চর্চায় মুখর হয়ে রয়েছে সারা ভারতবাসী। কেউ কেউ বলেছেন পেট্রোলের থেকে সিএনজিতে মাইলেজ অনেক বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে, অনেকে আবার বলছেন খুব সহজেই যাত্রীরা একটি বোতামের মাধ্যমে পেট্রোল থেকে সিএনজি মোডে কনভার্ট করতে পারবেন এই বাইকটিকে, আর সিএনজি চালিত গাড়িতে যে পরিবেশ দূষণ পেট্রোলে চালিত গাড়ির চেয়ে কম হবে তাতো আমরা মোটামুটি সবাই জানি।
আরও পড়ুন ? Prohibited Motorbikes: ভারতে এই ৪ মোটরবাইক চালানো নিষিদ্ধ! চালালেই পড়তে হবে আইনি গ্যাঁড়াকলে
মধ্যবিত্ত ক্রেতরা তখনই গাড়ি কেনেন যখন সেই গাড়িটির মাইলেজ ভালো হয়। মাইলেজ যদি ভালো না পাওয়া যায় তবে সেই গাড়িটির প্রতি মধ্যবিত্তের আকর্ষণ কমই থাকে। এখনো পর্যন্ত বাজাজ প্ল্যাটিনাম মডেলটি সবথেকে বেশি মাইলেজ দিয়ে থাকে। ৭০ কিলোমিটার যেতে খরচ হয় মাত্র এক লিটার জ্বালানি। কিন্তু সিএনজি চালিত (CNG Motorcycle) এই নতুন গাড়িটি তার থেকেও বেশি মাইলেজ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, সিএনজি চালিত এই মোটরসাইকেলে ১১০ সিসি ইঞ্জিন ও একটি সিএনজি সিলিন্ডার থাকতে পারে। যদিও এই বিষয় সংস্থার পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সরাসরি কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
বাজাজ কোম্পানি সিইও রাজিব বাজাজ জানান, নতুন এই সিএনজি মোটরসাইকেলের (CNG Motorcycle) মডেলটি শুধুমাত্র মাইলেজের দিক থেকে নয় দামের দিক থেকেও আকর্ষণীয় হবে। গাড়িটির দাম এক লাখ বা তার আশেপাশেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন যে চলতি বছরের জুন মাসে গাড়িটিকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে লঞ্চ করতে চলেছে কোম্পানি। বাইক প্রেমীদের কাছে এটি খুবই খুশির খবর। আপনি যদি খুব শীঘ্রই বাইক কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই বাইকটির জন্য আপনি অপেক্ষা করতেই পারেন।