Railway Project: বালুরঘাট থেকে হিলি! রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ এগোতে বড় পদক্ষেপ রেলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের আনাচে-কানাচে রেল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে রেলের (Indian Railway)। তবে বেশ কিছু জায়গায় জমি জটের কারণে থমকে রয়েছে রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন, বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ কতটা এগোলো? কেননা এই রেলপথ সম্প্রসারণের কাজের দিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনের আগে তাকিয়ে রয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি, ঠিক সেই রকমই আবার তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষেরাও।

বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিকগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের শেষের দিকে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, জমি অধিগ্রহণের জন্য রেলের তরফ থেকে ২৯৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। অন্যদিকে আবার আত্রেয়ী, কলকলা খাড়ি, যমুনা নদীর উপর ছ’টি বড় সেতু এবং দশটি ছোট কালভার্ট তৈরির জন্য রেলের তরফ থেকে ৫০ কোটি টাকার বরাতও ডাকা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সমস্যা পিছু ছাড়ছে না।

রেল এবং বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, টাকা দিয়ে দেওয়া এবং সেতু ও কালভার্ট তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়ে গেলেও জমি হস্তান্তরের কাজ হয়নি। যে কারণে এই কাজ দ্রুত করার ক্ষেত্রে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে রেলের। অন্যদিকে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ দাবি করেছেন, বহু জমিদাতার জমির কাগজপত্র ঠিক ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে জমি নিয়ে যাতে আগামী দিনে মামলার মুখোমুখি হতে না হয় তার জন্য সবকিছু দেখেই জমি নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন 👉 Balurghat Airport: বালুরঘাটের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর! ছাড়পত্র মিলতেই বিমানবন্দর তৈরি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা

বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত ২৯৮ কোটি টাকা দেওয়া হলেও মাত্র ৪০ কোটি টাকা জমিদাতাদের দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী দাবি করেছেন, “মমতা ব্যানার্জি নিজেও কাজ করবেন না কাউকে করতেও দেবেন না। তার কথামতোই প্রশাসন কাজ করছে।” মোটের উপর কাজের এই ঢিলেমির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকেই দায়ী করছেন বিজেপি নেতারা।

অন্যদিকে যত লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে রেল। দক্ষিণ দিনাজপুরের এই রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ এখন খুব একটা না এগোলেও রেলের তরফ থেকে এবার প্রশাসনকে চিঠি করা হয়েছে। যে চিঠিতে দ্রুত জমি হস্তান্তর করার জন্য বলা হয়েছে। রেলপথ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সেতু তৈরির জন্য দ্রুত কিছু জমি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রশাসনকে। তবে কাজ যে গতিতে হচ্ছে তাতে কোনোভাবেই লোকসভা ভোটের আগে কাজ তেমন এগোনো সম্ভব নয় বলেও মনে করা হচ্ছে।