কঠিন পরিস্থিতি, গাইতে পারছেন না, দুটি শব্দে ফেঁসে গিয়েছেন ভুবন!

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুবন বাদ্যকরকে (Bhuban Badyakar) চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। একসময় গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বাদাম বিক্রি করলেও কাঁচা বাদাম (Kacha Badam) গানের দৌলতে তিনি বিশ্বসেরা হয়ে ওঠেন। এমনকি ২০২২ সালে এই গানটি ইউটিউবে সর্বোচ্চ ভিউয়ের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তবে ভুবন বাদ্যকর বর্তমানে ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তার এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কারণে তিনি এখন হারিয়ে যাচ্ছেন। সেইভাবে গান রিলিজ করাতে পারছেন না অথবা কারো অনুরোধ থাকলেও গাইতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই তার উপার্জনও এখন তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ভুবন বাদ্যকর।

ভুবন বাদ্যকর নিজের কাঁচা বাদাম গানটি নিজেই গাইতে পারছেন না। তার সব থেকে জনপ্রিয় কাঁচা বাদাম গানটি গাওয়া তো দূরের কথা, কোন ভিডিওতে এই দুটি শব্দ ব্যবহার করলেই সেই ভিডিওতে আসছে কপিরাইট। এমনকি সেই কপিরাইটের কারণে অনেকগুলি ভিডিও youtube থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। কিভাবে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ভুবন বাদ্যকর?

সম্প্রতি এই বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে নিজের সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বীরভূমের কোন এক ব্যক্তি তার সংস্থার মধ্য দিয়ে তার কাঁচা বাদাম গানের কাঁচা বাদাম শব্দ দুটির উপর কপিরাইট নিয়ে নিয়েছেন। নিতান্তই সহজ সরল ভাবে জীবন কাটানো ভুবন বাদ্যকর এতোটুকু আঁচ করতে পারেননি, তার নিজের সৃষ্টি কখন অন্য কারো সম্পত্তি হয়ে গিয়েছে।

এই ঘটনার ফলে ভুবন বাদ্যকর যখন কোন গান অথবা মিউজিক ভিডিওর ক্ষেত্রে কাঁচা বাদাম শব্দ দুটি ব্যবহার করছেন তখন কপিরাইট আসছে। তাই কোন রকম মিউজিক ভিডিও বানিয়ে তিনি আর রোজগার করতে পারছেন না। কেবলমাত্র ছোটখাটো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যা রোজগার হচ্ছে তা দিয়ে চলছে সংসার। তবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও সমস্যার সমাধান কবে হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না।