Bhutan Railway Connection: সুখের দেশে এবার সরাসরি ট্রেনে, ভারত-ভুটান সংযোগ আরও মজবুত

Bhutan Railway Connection: ভুটান এমন একটি দেশ যেখানে এখনো রাজা রানী আছেন। ভুটানের অধিবাসীরা তাদের দেশকে মাতৃভাষা জংখা ভাষায় ‘দ্রুক ইয়ুল’ বা ‘বজ্র ড্রাগনের দেশ’ নামে ডাকে। গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস বলছে, ভুটান বিশ্বের দরবারে সবচেয়ে সুখি দেশ হিসেবে পরিচিত। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি যে এই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে সুখী এবং আনন্দে থাকার নেশা। যা বাকি পাঁচটা দেশ থেকে এই দেশকে আলাদা করে। তাইতো সুখের দেশে বারবার ছুটে যায় পর্যটনরা।

তবে এবার পর্যটকদের জন্য এক বিরাট সুখবর। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ সুদৃঢ় করার লক্ষে নয়া রেলওয়ে প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি’-র দিকে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনের সঙ্গে সংগতি বজায় রেখে কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই লাইনই অসম ও ভুটানকে যুক্ত করবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটিতে আয়োজিত বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো শীর্ষ সম্মেলন অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০-তে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে দেখা যায় মাননীয় রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। যা ইতিমধ্যেই প্রশংসা পাচ্ছে। তাই এবার সহজেই ট্রেনে সফর করে সুখের দেশে পাড়ি দিতে পারবেন পর্যটনরা।

আরও পড়ুন: Bagrakote Loop Bridge: উত্তরবঙ্গের লুপ সেতুতে নতুন ভিউ পয়েন্ট, এবার পাহাড়ের দৃশ্য হবে আরও উপভোগ্য

নতুন এই রেললাইনটি ৬৯.০৪ কিলোমিটারের। রেললাইনটি অসমের কোকরাঝাড় স্টেশনকে ভুটানের গেলেফুর সঙ্গে যুক্ত করবে। জানেন কত টাকা ব্যয়ে জুড়তে চলেছে রেলপথটি? জানা গিয়েছে, বেশ মোটা অংকের ব্যয় জুড়তে চলেছে এই রেলপথ। প্রায় ৩,৫০০ খরচ হবে এই প্রকল্প এ। যার অধীনে মোট ছয়টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। নাম গুলি হল বালাজান, গারুভাসা, রুনিখাতা, শান্তিপুর, দাদগিরি ও গেলেফু। পাশাপাশি পরিকাঠামো পরিকল্পনায় থাকছে ২টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ২৯টি বড় সেতু, ৬৫টি ছোট সেতু, ১ রোড ওভারব্রিজ, ৩৯টি রোড আন্ডার ব্রিজ ও ১১ মিটার ২টি ভায়াডাক্ট। রেলের তরফে ফাইনাল লোকেশন সার্ভে সফল ভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। পরবর্তী অনুমোদন এর জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

এই রেললাইনটি ভারত-ভুটান সম্পর্ককে আরও সুদীর্ঘ করবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। সেই সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। এর মাধ্যমে ভুটানকে সর্বপ্রথম বার রেলওয়ে সংযোগ ব্যবস্থা প্রদান করা। তবে এখনও রেলের টিকিট সম্পর্কিত কোন তথ্য সামনে আসেনি।