এই ডিজিটাল যুগে ৮ থেকে ৮০ প্রায় সকলের হাতেই স্মার্টফোন। তবে আজকাল শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয় স্মার্টফোনটি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে নানান পরিষেবা দিতে। খুব সহজেই যেমন শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে ঠিক তেমনই হাতে কম সময় থাকলে নিত্যযাত্রীরা বাস ট্রেনের বদলে কিছু বাড়তি টাকা দিয়ে ওলা বা উবার থেকে ক্যাব অথবা নূন্যতম ভাড়ায় র্যাপিডো থেকে বাইক বুক করেই দ্রুত চলে যাওয়া যায় গন্তব্যে। কিন্তু যাত্রীদের এই সুখেও যেন কারোর নজর লেগে গেল। বড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে অ্যাপ-বাইক সংস্থাগুলি। এবার কার্যত বন্ধের মুখে অ্যাপ ক্যাব বাইক পরিষেবা। আগামী ১ মাস ২ সপ্তাহের মধ্যেইঅ্যাপ ক্যাব বাইক পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ সামনে এসেছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের বুকে বাইক ট্যাক্সি চালানো যাবে না মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট ১৯৮৮ এর ৩ নম্বর ধারার অধীনে সরকার প্রয়োজনীয় গাইডলাইন জারি না করা অবধি। হাইকোর্টের তরফে
রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে আগামী ১ মাস ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে যাতে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ করা হয়। সুতরাং এর ফলে কর্নাটকের বুকে আপাতত বাইক পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হবে ওলা, উবার, র্যাপিডো সহ বাইক ট্যাক্সি পরিষেবাদাতাদের।
আরও পড়ুন: BSNL: বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে সরকার! বিএসএনএল থেকে বিল মেলেনি জিওর
কর্নাটক সরকারকে এর জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও গাইডলাইন তৈরি করতে হবে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে বিচারপতি বিএম শ্যাম প্রসাদের বেঞ্চের তরফে। কর্নাটক হাইকোর্টের এই রায় প্রকাশ্যে আসার পরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে বিবেচনা করেছেন বাইক ট্যাক্সি প্ল্যাটফর্মের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, কর্নাটক সরকারের তরফে গত চার বছর আগে ২০২১ সাল নাগাদ বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা নিষিদ্ধ করে একটি আদেশ জারি করা হয়েছিল।সেসময় হাইকোর্টে এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল র্যাপিডো উবার এবং ওলা। তখন সরকারকে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয় এই প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করার। শুনানিতে এটাই উঠে এসেছিল। আর এবার হাইকোর্টের এই নয়া নির্দেশ সামনে এসেছে।