ATM কাউন্টারে জালিয়াতির টাকা তুলতে এসে হাতেনাতে পাকড়াও ৩ যুবক

লাল্টু : টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অধিকাংশ মানুষ এখন ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমেই নিজেদের আর্থিক আদান-প্রদান মিটিয়ে নিচ্ছেন। তবে এরই ফাঁকে বেড়েছে জালিয়াতির ঘটনাও। সামান্য অসাবধানতাবশত এমন অজস্র জালিয়াতির ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

কখনো কেওয়াইসি, কখনো সিমকার্ড রিপ্লেসমেন্ট, কখনো আবার আধার লিঙ্ক, লটারিতে টাকা জেতা সহ নানান ধরনের ফাঁদে এবং প্রলভনে সাধারণ মানুষকে ফেলে এমন নানান জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। এমনই জালিয়াতির টাকা এটিএম কাউন্টার থেকে তুলতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিন যুবক।

জালিয়াতির টাকা এটিএম থেকে তুলতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ার এমন ঘটনা মঙ্গলবার ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত পাওয়ার হাউস মোড়ের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি এটিএম কাউন্টারে। ধৃত ৩ যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলার পর তাদের দুবরাজপুর থানা নিয়ে আসা হয় এবং পরে আনা হয় সিউড়িতে।

ধৃত ওই তিন যুবকের বাড়ি ঝাড়খন্ড ঘেঁষা মুড়াবেরিয়া এলাকায়। এদিন তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করার সময় আনুমানিক ২০ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার হয়। সেই টাকা এবং তাদের সঙ্গে থাকা নম্বর প্লেট বিহীন মোটর সাইকেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আগামীকাল তাদের সিউড়ি আদালতে তোলা হবে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে জালিয়াতির টাকা দুবরাজপুরের এই এটিএম কাউন্টার ব্যবহার করে তুলে নিয়েছিলেন প্রতারকরা। তারা মূলত Yono Cash ব্যবহার করে এই টাকা ক্যাশ করতেন। বীরভূম সাইবার সেল এই ঘটনার ওপর নজরদারি চালিয়ে ওই এলাকায় নিজেদের লোক নিয়োগ করে। এর পাশাপাশি স্থানীয় যুবকদের নজরদারি চালানোর জন্য পরামর্শ দেয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ওই তিন যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলা সম্ভব হয়। স্থানীয় যুবকরা জানিয়েছেন, এদিন অজ্ঞাতপরিচয় ওই তিন যুবককে দেখতে পেয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের আটকে দেওয়া হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ধৃত এই তিন যুবক আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় তাদের সনাক্ত করা হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই ঘটনায় তাদের সঙ্গে বড়োসড়ো কোন চক্র কাজ করছে কিনা।