Bishnupur to Tarakeswar Railway Project is stuck due to land dispute in Bhabadighi: তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর যাবার রেললাইন তৈরি নিয়ে সমস্যা যেন কিছুতেই মেটানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি আবারও রেলের কর্তারা এই সমস্যা মেটানোর জন্য ভাবাদিঘির ঘাটে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কোন সমাধান বের করতে পারেননি তারা। স্থানীয় বাসিন্দারাও আশা করেছিল এবার হয়তো সমস্যা মিটবে, দিনশেষে তারা আবারও আশাহত। তারেকেশ্বর বিষ্ণুপুর লাইনের (Bishnupur to Tarakeswar Railway Project) গোঘাটে ভাবাদিঘি জট এখনো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ভাবাদীঘির অর্ধেকটা বুঝিয়ে তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এখানেই আপত্তি তুলেছে গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের দাবি ভাবাদিঘির কোনো অংশ বোজানো যাবে না। তার বদলে উত্তর দিকের ঘাট বরাবর রেললাইন পাতা হোক। এর আগেও হাওড়া ডিভিশনাল ম্যানেজার ও পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এই সমস্যা সমাধান করতে এসেছিলেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
সম্প্রতি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মুখ্য প্রশাসনিক পিকে শর্মা, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মনোজ খান, ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার কদম সিংহ মিনা প্রমূখ ব্যক্তিরা ভবদীঘি সমস্যার (Bishnupur to Tarakeswar Railway Project) সমাধান করতে এসেছিলেন। তাদেরকে দেখে গ্রামবাসীদের ধারণা হয়েছিল, এবার হয়তো তাদের দাবি মেনে নিয়ে ফের কর্তৃপক্ষ নতুন পরিকল্পনা তৈরি করবে। নতুন নকশা অনুযায়ী রেল লাইনের কাজ শুরু হবে। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি। গ্রামবাসীদের আশাও পূর্ণ হয়নি, রেল দপ্তরের কাজও শুরু হয়নি। রেললাইনের কাজের নকশা পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাতেই গ্রামবাসী আরো উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাদের মতে রেল কর্তৃপক্ষ যখন নকশা পরিবর্তন করতে চাইছেনই না, তখন আর তাদের সাথে কথা বলার কোন মানেই হয় না।
আরও পড়ুন ? Andal to Chennai Flight: এবার আরও কম খরচে অন্ডাল থেকে চেন্নাই! এই দিন থেকে পরিষেবা চালু করছে ইন্ডিগো
ইতিমধ্যে দিঘিটির ৩০০ মিটার পূর্বে এবং ৩৫০মিটার পশ্চিমে দুটি সেতু তৈরি করা হয়েছে। রেলপথ চালু করার জন্য দিঘিটির মাত্র ৬০০ মিটার জায়গা ব্যবহার করা প্রয়োজন। এইটুকু নকশা পাল্টানো একেবারেই সম্ভব নয়। কিন্তু তাতেও আপত্তি করছেন গ্রামবাসী। তাদের বক্তব্য রেললাইন চালু হলে দিঘির আয়তন কমে যাবে। তাতে তারা মোটেই রাজি নয়। আলোচনার মাঝপথে গ্রামবাসীরা এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়ে, যে রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ঠিক কি বলতে এখানে এসেছিল তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে শুধুমাত্র ভাবাদিঘির সমস্যার জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সকলে। রাজ্য ও জেলা প্রশাসন জায়গা দিলেই রেল লাইন তৈরির জন্য দিঘির যেটুকু অংশ ব্যবহার করা হবে, তার থেকে বড় দীঘি তৈরি করে দেওয়া হবে। এবং গাছ কাঁটা পড়লে সেই গাছ নতুন করে লাগিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এই প্রকল্পের (Bishnupur to Tarakeswar Railway Project) অন্তর্ভুক্ত গোঘাটের অমরপুরে জমির দাম নিয়েও সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা সম্প্রতি মেটানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও সরাসরি সেতু নির্মাণের কথা না জানালেও জল নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে রেল কর্তৃপক্ষ জল নিকাশি ব্যবস্থার দাবি মেনে নিয়েছে। কিভাবে এই কাজ হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে আবারো তারা গ্রামে আসবেন। রেল দপ্তরের তরফ থেকেও জানা গেছে পশ্চিমে অমরপুর নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা শীঘ্রই মেটানো সম্ভব হবে।