বাবুলের সভায় হঠাৎ বাজলো ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি, ভাইরা সব কোটিপতি’

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল…!’ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে থাকা বাবুল সুপ্রিয় গান লিখেছিলেন তৃণমূলকে বিঁধে। সেই গান কি দারুণ ভাবে মন জয় করে গেরুয়া শিবিরের। শুধু গেরুয়া শিবিরের না, এর পাশাপাশি ‘এই তৃণমূল আর না’ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

তবে সেই ২০১৯ সাল থেকে ২১। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে কেন্দ্র বিজেপির নির্দেশে ছাড়তে হয়েছে মন্ত্রিত্ব। আর এর পরেই শুরু হয় মনোমালিন্য। প্রথমদিকে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ঘোষণা করলেও পরে তিনি আবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন।

বাবুল সুপ্রিয়র এই গান ‘এই তৃণমূল আর না’ গেরুয়া শিবিরের সভায় সভায় ঝড় তুলেছে বছরের পর বছর ধরে। আর যখন ত্রিপুরার পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘাত চরমে পৌঁছেছে সেখানকার শাসক দল বিজেপির, সেই সময় এই গানই আলাদা মাত্রা এনে দিল। আলাদা মাত্রা এনে দিল তাও আবার তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়র সভাতেই।

শুক্রবার বাবুল সুপ্রিয় ত্রিপুরায় তৃণমূলের পৌরসভা প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে একটি সভা করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। এই সভা চলাকালীনই মঞ্চের পাশ দিয়ে চলে যাই একটি গাড়ি। যেখানে তারস্বরে বাজতে শোনা যায় বাবুল সুপ্রিয়র সেই গান ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি, ভাইরা সব কোটিপতি’।

আসলে ত্রিপুরার এই পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই উঠে পড়ে লেগেছে। প্রচারে কেউ খামতি রাখতে চাইছে না। তৃণমূল যেমন এখানে প্রথমবার লড়াইয়ে নেমে একের পর এক জায়গায় তাবড় তাবড় নেতাদের নিয়ে প্রচার শুরু করেছে ঠিক তেমনি সেখানকার গেরুয়া শিবিরও প্রচার চালাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সেই রকমই একটি গেরুয়া শিবিরের গাড়ি, যা তাদের প্রচার চালাচ্ছিল, সেই গাড়িটি তৃণমূলের সভামঞ্চের পাশ দিয়ে চলে যায়। তখনই সেই গাড়িতে এই গান বাজে। তবে তা হলেও স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, নিছকই প্রচার নাকি, তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই এমনটা করেছে বিজেপি?