জেলা সভাপতি ‘রাজনীতির টেস্টটিউব বেবি’, কটাক্ষ বিজেপিরই প্রাক্তণ নেতার

অমরনাথ দত্ত : বীরভূম জেলা বিজেপির অন্দরের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের একবার সামনে এলো রবিবার। এদিন বিজেপির পতাকা হাতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের কৃষি আইনের সমর্থনে বোলপুরে একটি মিছিল হয়। মিছিলে ছিলেন না বর্তমান জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল। আর এই মিছিল থেকেই জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলকে কটাক্ষ করতে দেখা গেল এক প্রাক্তন নেতাকে।

এদিন এই মিছিলটি করা হয় দিলীপ ঘোষ এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী রাম প্রসাদ দাসের নেতৃত্বে। আর এই মিছিল থেকেই বিজেপির প্রাক্তণ কিষান মোর্চার সভাপতি সোমনাথ ঘোষ বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলকে ‘রাজনীতির টেস্টটিউব বেবি’ বলে কটাক্ষ করলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, “আজ আপনারা এই মিছিলে যাদের দেখছেন তারা সেই সকল নেতাকর্মী যাদের বিজেপি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে এর চরম প্রভাব পড়বে বিজেপির উপর। কারণ ‘আপনা বুথ সবসে মজবুত’। বুথের উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার।”

কিন্তু এই সকল কর্মীদের দল থেকে বাদ দেওয়ার কারণ কি?

এর উত্তরে বিজেপির প্রাক্তন কিষান মোর্চার সভাপতি সোমনাথ ঘোষ জানান, “পুরোপুরি লবিবাজি চলছে। ঈর্ষান্বিত মনোভাব নিয়ে রাজনীতি চলছে। প্রকৃত যারা বিজেপির সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন তাদের বাদ দিতে না পারলে ‘তাদের’ রাজনীতিটা লাটে উঠে যাবে।”

এর পরেই তিনি বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলকে কটাক্ষ করে বলেন, “আপনারা জেলা সভাপতি বলছেন, কিন্তু লজ্জাজনক। আসলে উনি ‘রাজনীতির টেস্টটিউব বেবি’। বীরভূমের মাটি প্রচন্ড শক্ত, উনার জন্মই হয়নি এখনো।”

এর পাশাপাশি এদিনের এই মিছিলে বিজেপি নেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও লক্ষ্য করা যায়। সেই কথা কাটাকাটি মূলত বক্তব্য রাখা নিয়ে এবং জেলা সভাপতির বিরোধিতা করার পরিপ্রেক্ষিতে।

অন্যদিকে বিজেপির প্রাক্তন এই কিষান মোর্চার সভাপতি সোমনাথ ঘোষের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন তুলেন নি।

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল দায়িত্বে আসার পর দলে একাধিক কাটছাঁট করেন। দলের প্রাক্তন বেশকিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলের নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠলে তাদের দল থেকে বহিস্কৃত করেন। এর পাশাপাশি জেলার বুথ সভাপতি থেকে অন্যান্য দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদেরও বদল করা হয়। আর এই সকল পরিবর্তন অর্থাৎ রদবদলের কারণেই বিজেপির অন্দরে এমন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।