সামনেই বিধানসভা, সংযোগ বাড়াতে বাড়ি বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর চিঠি

হিমাদ্রি মন্ডল : হাতেগোনা আর কয়েকটা মাস, আর তার পরেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলকে বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেবে না বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা থেকে রাজ্য নেতাদের। এমনকি তারা ২১শে রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় শাসক দলে পরিণত হবে বলেও দাবি করেছেন। আর এই ২১শের নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই একের পর এক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বদের। আর এবার সেই সকল পদক্ষেপের মধ্যেই বিজেপির নেতাকর্মীরা রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি চিঠি বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো শুরু করলেন।

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া চিঠি বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর কাজ শুরু করলেন বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল। এদিন বীরভূমের সিউড়ী ১ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। আর এই চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন একুশের ভোটের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি জনসংযোগ বাড়ানোর প্রথম ধাপ শুরু করে দিল।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই চিঠিতে কি লেখা রয়েছে?

চিঠিতে কি লেখা রয়েছে তা সম্পর্কে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানান, “গত ১৬ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের প্রত্যেক মানুষের জন্য একটি করে চিঠি পাঠিয়েছেন। আর আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি কি প্রকল্প করেছেন তা নিয়ে একটা খসড়া তৈরি করেছি। আর এই দুটি আমরা সকলের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রী এই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সাধারণ মানুষের কোন ক্ষোভ অথবা কিছু থাকলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানানোর কথা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ নিয়ে রাজ্য সরকারকে সরাসরি চিঠি করার কথা জানানো হয়েছে বলে জানান বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল।

চিঠির মূল বিষয়বস্তু হল গত এক বছরে কেন্দ্র সরকার যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে যেমন জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, শীর্ষ আদালতের রায়ে রাম মন্দির বির্তকের অবসান, তিন তালাক প্রথার অবসান, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, বিভিন্ন মহাকাশ অভিযান প্রকল্প, কৃষক, নারী ও যুব সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ইত্যাদি। পাশাপাশি এই চিঠিতে উঠে এসেছে বর্তমানের করোনা পরিস্থিতি। যে পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব যখন টলমল অবস্থায় রয়েছে তখন ভারতীয়দের একাগ্রতা ও সরকারের করোনা প্রতিরোধের প্রচেষ্ট।

তবে আগামী বিধানসভা ভোটে লড়াইটা যে দুই পক্ষের জন্যই কঠিন হবে তা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই করোনা পরিস্থিতিতেও দুই দলই ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রচারে নেমে পড়েছে। করোনা ভয় কাটিয়ে তৃণমূল নেতাদেরও একের পর এক কর্মীসভা করতে দেখা যাচ্ছে।