Black Rice: সুবজ মাঠের মাঝে ৮ কাঠা জমিতে কালো কালো ওটা কী চাষ, দেখতে ভিড় অজস্র মানুষের

Black Rice: বর্ষার মরসুম শেষে এখন রাজ্যের অধিকাংশ মাঠে চাষিরা ধান পুঁতেছেন। যে সকল ধান ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করায় গোটা মাঠ সবুজে ভরে গিয়েছে। তবে এই সবুজ মাঠের মাঝেই হঠাৎ দেখা গেল আট কাঠা জমি কালো হয়ে রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, কেউ ধান চাষ করেছিলেন আর সেই ধান যেন পুড়ে গিয়েছে। রাস্তা দিয়ে যারাই পারাপার করছেন তারাই এই বিষয়টি দেখার জন্য একবারও অন্ততপক্ষে থমকে দাঁড়াচ্ছেন। সবাই অবাক, এমনটা হলো কিভাবে?

আসলে যে জমির কথা বলা হচ্ছে সেই জমির ধান নষ্ট অথবা পুড়ে যায়নি। এটিও একটি ধান এবং এই ধান উন্নত মানের ধান। যে ধানের নাম ব্ল্যাক রাইস (Black Rice), কেউ কেউ আবার বলে থাকেন সুগার ফ্রী রাইস। এই ধানের অনেক উপকারিতা যেমন রয়েছে, ঠিক সেই রকমই দাম অনেক, আবার চাষের খরচ অনেক কম।

বীরভূমের লাভপুর ব্লকের কাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা উত্তম পাত্র পরীক্ষামূলকভাবে তার আট কাঠা জমিতে এই উন্নত মানের প্রজাতির ধান চাষ করেছেন। যে চালের রং কালচে বেগুনি। লাভপুর ও বোলপুর রাস্তার ঠিক ধারেই এই ধান চাষ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সংসার চালাতে স্বামী থাকেন বাইরে, বউ মত্ত পরপুরুষে, পুজোয় বাড়ি ফিরে ধরা পড়তেই ঘটে গেল ভয়ানক কাণ্ড

উন্নত প্রজাতির এই ধানকে কেউ কালো ধান (Black Rice) বা চাকহাও ধান বলছেন। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আয়রন ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে, এই ধান ডায়াবেটিস হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো রোগের প্রতিরোধ করা সম্ভব। ধানের ব্যবহার সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে এই ধরনের ধান থেকে উৎপাদিত হওয়া চাল দিয়ে পায়েস কেক হেলথ ফুড এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা যায়।

এখন দামের দিকে যদি নজর রাখা যায় তাহলে জানা যাচ্ছে, অন্যান্য সাধারণ চালের তুলনায় এর দাম অনেক বেশি। ব্ল্যাক রাইস (Black Rice) স্থান বিশেষে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয়