এই পৃথিবী বড়ই বিচিত্র। আর বিচিত্র এই পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষজন। নাহলে কী কেউ এমন কান্ড ঘটাতে পারে? বাড়িতে মেয়ের বিয়ের আনন্দে মেতেছেন গোটা পরিবার। স্বাভাবিকভাবেই শুভ দিন আসার অপেক্ষায় দিন গুনছে দুই পরিবারের সদস্যরা। বিয়ের প্রস্তুতি একবারে তুঙ্গে। আর কথাতেই আছে যার বিয়ে তার হুঁশ নেই পাড়া-পড়শির ঘুম নেই! এই কথা মেনেই বিয়েবাড়িতে হৈচৈ শুরু হয়েছে আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীর। তারই মাঝে ঘটে গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। বিয়ের আনন্দে জল ঢেলে হবু জামাইয়ের সঙ্গে হাত ধরে সোজা চম্পট দিলেন শাশুড়ি। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন।
তবে শুধু এতেই থেমে থাকেনি এই গোটা বিষয়। একইসাথে কুড়ি বছরের মেয়ের প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালানোর আগে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা সহ মেয়ের বিয়ের যাবতীয় গয়নাগাটিও ব্যাগে ভরে নিয়ে গিয়েছেন ওই মহিলা। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার মদ্রক গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের আগামী ১৬ই এপ্রিল মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। দুই বাড়ি মিলিয়ে বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতিও ছিল তুঙ্গে। অতিথিদের নিমন্ত্রণও সাড়া হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে হঠাৎই হবু বর বাড়ি থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় তিনি জানান বিয়ের কিছু কেনাকেটা বাকি আছে সেগুলোই করতে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: Passport: আর লাগবে না বিবাহের শংসাপত্র! পাসপোর্টে কার্যকর হতে চলেছে নয়া নিয়ম
যদিও পরবর্তীতে তার বাবাকে ফোন মারফত জানান, “আমি চলে যাচ্ছি। আমাকে খোঁজার চেষ্টা করো না।” অপরদিকে রাতে ওই একই সময়ে মেয়ের বাড়িতেও খোঁজ পাওয়া যায়নি মেয়ের মায়ের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হয়। তারপরেই স্পষ্ট হয় হবু জামাই ও শাশুড়ি একসঙ্গে পালিয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই এরপর মেয়েটির পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের কাছে মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, তার মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন দাদন থানা এলাকার একটি গ্রামের ছেলের সঙ্গে। বিয়ের পাকা কথা হওয়ার পর থেকেই হবু বরের আনাগোনা লেগেই থাকত শ্বশুর বাড়িতে। আবার চুপি চুপি কথাও বলতেন হবু শাশুড়ির সঙ্গে।
বেশ কয়েকদিন আগে হবু শাশুড়ির হাতে দামী মোবাইল ফোনও তুলে দেন তিনি। তবে এমন কান্ড যে ঘটবে তা ঘুনাক্ষরে টের পায়নি কেউই।গত রবিবার মেয়ের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে দেখা যায় টাকা সহ সমস্ত অলংকার কিছুই নেই। আলমারি একবারে খাঁ খাঁ করছে। এরপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান উত্তরাখণ্ডে যেখানে যুবক কর্মরত সেখানেই আশ্রয় নিতে পারেন দুজনে। ইতিমধ্যেই দু’জন এর খোঁজে একটি দল ওই জায়গায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।