Bridge is being built over Muriganga River to reach Gangasagar: গঙ্গাসাগর হলো সেই স্থান যেখানে পবিত্র গঙ্গা নদী তার প্রবাহ সমাপ্ত করে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। চলতি কথায় বলা হয় সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর একবার। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে গঙ্গাসাগর অতি পবিত্র একটি তীর্থ ক্ষেত্র। হিন্দু ধর্মের মানুষরা বিশ্বাস করেন গঙ্গাসাগরে গিয়ে গঙ্গাস্নান করলে জীবনের সমস্ত পাপ দূর হয়ে পুণ্য অর্জন করা হয় হয়। এই পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্রে উন্নয়নেই এবার সরকারের তরফ থেকে মুড়িগঙ্গার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজ (Muriganga River Bridge)।
প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে গঙ্গাসাগর স্নানের আয়োজন করা হয়। বহু দূর দূরান্ত থেকে অগণিত মানুষ সে সময় আসেন গঙ্গাসাগর এর উদ্দেশ্যে। তবে শুধু এই সময় টুকুই নয়, সারা বছরই গঙ্গাসাগর তীর্থ ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে ভিড় জমান মোক্ষ লাভের আশায়। এখনও পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে পৌঁছাতে গেলে পুণ্যার্থীদের সাহায্য নিতে হয় জলপথের। তবে সরকারি সহায়তায় এবার তীর্থ যাত্রীদের জন্য আসছে দারুন সুখবর।
কিছুদিন অগেই প্রকাশিত হলো ২০২৪-২০২৫ সালের রাজ্য বাজেট। এই বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে তৈরি হবে একটি সেতু (Muriganga River Bridge), যা গঙ্গাসাগর যাত্রাকে আরো সহজ করে তুলবে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৩.১ কিলোমিটার। সেতুটি লট নম্বর ৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই সেতুর নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গাসাগর সেতু।
আরও পড়ুন ? Dumdum Road joining new bridge: আরও সহজে ওঠা যাবে দমদম রোডে, ২২ কোটি টাকায় চালু হয়ে গেল নতুন সেতু
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই সেতুটি নির্মাণের কাজ সম্পূর্ন করতে সময় লাগবে তিন বছর। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে রাজ্য থেকে মোট ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম বছরের জন্যই বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। আশা করা যাচ্ছে এই সেতুটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে শুধু পুণ্যার্থী দের সুবিধা হবে তা নয়, গঙ্গাসাগর যাত্রা সহজতর হলে পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াসে এর আগেও গঙ্গাসাগর তীর্থ ক্ষেত্রে নানা উন্নতি হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য নতুন করে সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর। তবে এবার মুড়িগঙ্গার উপর এই সেতু (Muriganga River Bridge) নির্মিত হলে যাতায়াত ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে। এই বিষয়ে স্থানীয় মানুষরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত, কারণ তারা আগের থেকে অনেক তাড়াতাড়ি শহরে পৌঁছাতে পারবেন এই সেতুর মাধ্যমে।