কবে চালু হবে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন! বড়সড় আপডেট দিল রেল

বিদেশ ভূম অনেকের কাছেই না পসন্দ। দেশ ভক্তদের কাছে দেশের সব জিনিসই যেন অমূল্য। তাই উচ্চগতির বুলেট ট্রেনে চাপার যাদের স্বপ্ন, তারা অনেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছেন দেশের কবে চালু হবে দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন। জাপানের প্রতি জনপ্রিয় ‘সিনকানসে’ কবে থেকে ভারতের রেল লাইন দাপিয়ে বেড়াবে। এ নিয়ে পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। আসুন জেনে নেওয়া যাক কবে থেকে দেশের মাটিতে হাওয়ার গতিবেগে দৌড়াবে বুলেট ট্রেন।

শেষ পাওয়া আপডেট যা বলছে, তাতে বাড়বে অপেক্ষার প্রহর। কারণ মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাট পর্যন্ত প্রস্তাবিত যে বুলেট ট্রেন চালানোর প্রকল্পটি রয়েছে, তার বাস্তবায়ন হতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুলেট ট্রেন চালানোর প্রকল্পে কাজ এখনও অনেক খানি বাকি। ফলে বিশেষজ্ঞদের মত, যদি দ্রুত বুলেট ট্রেন চাপার স্বপ্ন থাকে, তাহলে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দিন। কারণ প্রস্তাবিত ২০২৮ সালের মধ্যে দেশের মাটিতে বুলেট ট্রেন চলাচল করার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বই শহর থেকে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহর পর্যন্ত বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি সময়সীমার আগে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বিশেষঞ্জদের মতে এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি ২০২৮ সালের পরেও বিলম্বিত হতে পারে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ এখনও পর্যন্ত শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি ৭০ শতাংশ কাজ এখনও বাকি রয়েছে।

কর্মকর্তারা যোগ করেছেন যে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রথম ট্রায়াল রান ২০২৬ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে সুরাট-বিলিমোরার মধ্যে ৬৩ কিলোমিটারের করিডোরে হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। উচ্চ গতির করিডোরের গুজরাটের অংশটি ৩৫.২৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে তবে এটি মহারাষ্ট্রে মাত্র ১৯.৬৫ শতাংশ হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল আজ থেকে পাঁচ বছর আগে। দেশের রেলপথ মন্ত্রকের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে গত অর্থবছরের শেষ অবধি প্রকল্পটি সামগ্রিকভাবে মাত্র ৩৯.১৫ শতাংশ কাজের অগ্রগতি করেছে। যার ফলে এই প্রকল্পটি শেষ হতে অনেক অধীক সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রায় ১০৮০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে করে নির্মিত ভারতের প্রথম মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই স্পীড রেল প্রকল্প বা বুলেট ট্রেন ৫০৮ কিমি কভার করতে চলেছে। মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই স্পীড রেল প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৩২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন পরিচালনা করা যাবে এবং মুম্বাই-আহমেদাবাদের মধ্যে সম্পূর্ণ দূরত্ব মাত্র ১২৭ মিনিটে কভার করবে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে।

মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই স্পীড রেল প্রকল্পের অংশ, ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ মুম্বই-এর গুরুত্বপূর্ণ টানেলের কাজও এখনও শুরু হয়নি। বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হতে প্রায় ৫ বছর সময় লাগবে। টানেলটি বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স এবং মহারাষ্ট্রের শিলফাটার ভূগর্ভস্থ স্টেশনের মধ্যে তৈরি করা হবে এবং সমুদ্রের নিচের টানেলটি থানে ক্রিক দিয়ে যাবে। এখানে ভারতের প্রথম ৭ কিমি দীর্ঘ সমুদ্রের তলার টানেলও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সাম্প্রতিক সময় দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংসদে জানিয়েছিলেন যে “এখনও পর্যন্ত গুজরাট এবং দাদরা ও নগর হাভেলিতে মোট ৩৫২ কিলোমিটার উঁচু ভায়াডাক্টের মধ্যে প্রায় ২৫৭ কিলোমিটার পাইলিং, ১৮০ কিলোমিটার ফাউন্ডেশন, ১৫৫ কিলোমিটার পিয়ার এবং ৩৭ কিলোমিটার গার্ডার চালু করা হয়েছে।”