জাতীয় সড়কে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস, মৃত ২

হিমাদ্রি মন্ডল : দিন দিন মারণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে বীরভূমের উপর দিয়ে যাওয়া ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক (National highway)। একপ্রকার প্রতিদিনই এই জাতীয় সড়কের কোন না কোন জায়গা থেকে দুর্ঘটনার খবর আসছে। আর সেই সকল দুর্ঘটনা ঘটছে একাধিক প্রাণহানি।

দুর্ঘটনার (Road Accident)এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় মহঃবাজার থেকেই সিউড়ির মাঝে জয়পুর পেরিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ভগবতী হোটেলের কাছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস। যে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। মৃত দু’জনের মধ্যে একজন বাসের কনডাক্টর এবং অন্যজন চায়না ভ্যানচালক।

জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে রঘুনাথগঞ্জ এবং রঘুনাথগঞ্জ থেকে সিউড়ি মানষী নামে একটি বাস যাতায়াত করে। এদিন সন্ধ্যাবেলায় মহঃবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী তুলে সিউড়ি রওনা দেওয়ার পর ভগবতী হোটেলের কাছে ওই যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু পাশাপাশি বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন।

দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে বাসের এক যাত্রী বিকাশ রুজ জানিয়েছেন, “ওই হোটেলের কাছে আসার পরই চাকা ফেটে যাওয়ার মত আওয়াজ উঠল। এরপরেই কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনা। পরে আমরা দেখতে পাই একটি চায়না ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর বাসটি কাছে ধাক্কা মেরেছে। ওই চায়না ভ্যানের চালক মারা যাওয়ার পাশাপাশি বাসের কন্ডাক্টর মারা যান।”

অন্যদিকে বাস শ্রমিকদের ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত বাবুলাল জানিয়েছেন, “বিনা লাইটে জাতীয় সড়কে লাইসেন্সবিহীন এই চায়না ভ্যানটির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিনা আলোতে যাওয়ার কারণে বাসের চালক দেখতে পায়নি এবং তাকে বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের এই বাসের কন্ডাক্টর মারা গিয়েছেন।”

দুর্ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানজট হয়। যদিও মহঃবাজার থানার পুলিশের তৎপরতায় আহত যাত্রীদের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করার পাশাপাশি যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।