মিড ডে মিল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, আগে মাপ পরে টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও একাধিক রদবদল আনা হয়েছে। নতুনভাবে জারি করা হয়েছে শিক্ষানীতি। আর এবার এসবের পাশাপাশি মিড ডে মিল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্র। যে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকা পাঠানোর আগেই হবে মাপ।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এবার মিড ডে মিলের টাকা দেওয়ার জন্য একটি জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। যেখানে স্কুলের মিড ডে মিলের খরচ বাবদ কেন্দ্র দেবে ৬০% এবং রাজ্য দেবে ৪০% টাকা। এরপর বছরের শেষে দেখা হবে ব্যালেন্স শীট। সেখানে যদি লক্ষ্য করা যায় কেন্দ্রের পাঠানো টাকার পুরো অংশ খরচ করা হয়নি, তাহলে পরের কিস্তিতে টাকা পাঠানোর সময় বেঁচে যাওয়া টাকা বাদ দিয়ে বাকি বরাদ্দ পাঠানো হবে।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পেছনে বেশ কতকগুলি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। অনেকের মতে সরকারি প্রকল্পের খরচে শৃঙ্খলা আনতে চাইছে কেন্দ্র। বরাদ্দ টাকার অব্যবহৃত অংশও বাঁচাতেই এমন পদক্ষেপ বলেও মনে করা হচ্ছে। অনেকে আবার মনে করছেন, কেন্দ্র যাচাই করে নিতে চাইছে, নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকার নিজেদের বরাদ্দ ঠিকঠাক করছে কিনা, নাকি কেন্দ্রীয় বরাদ্দেই পুরো প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।

মিড ডে মিলের খরচ কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের ভাগাভাগিতে আসে পড়ুয়াদের কাছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য ৬০:৪০ ভাগ রয়েছে। এছাড়াও চালের পুরো খরচ বহন করে কেন্দ্র। রান্নার অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে কেন্দ্র খরচ বহন করে ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য খরচ বহন করে ৪০ শতাংশ। রাঁধুনি এবং তার সহযোগীদের খরচের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ৬০০ টাকা দিলে রাজ্যকে দিতে হয় ৯০০ টাকা।

এছাড়াও রান্নার বাসনপত্রের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য যথাক্রমে ৬০ শতাংশ ও ৪০ শতাংশ টাকা খরচ করে থাকে। একইভাবে রান্নাঘর ও রান্নার সামগ্রী রাখার ঘরের ক্ষেত্রে খরচ বহন করা হয়ে থাকে। স্কুলের বাগান প্রকল্প তৈরী করে আনার উৎপাদন করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য যথাক্রমে ৬০ শতাংশ ও ৪০ শতাংশ খরচ বহন করে থাকে। তবে খাবারের ঘর তৈরি করার ক্ষেত্রে পুরো খরচ বহন করতে হয় রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য পানীয় জল, থালা বাটি ইত্যাদির খরচ বহন করতে হয় রাজ্য সরকারকে।