Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলা যাওয়া নিয়ে চিন্তা! দেখে নিন সহজ এই সব রুট

Check out these easy routes to Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela) গুরুত্ব হিন্দুদের কাছে অপরিসীম। পৌষ সংক্রান্তির দিনে এখানকার ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা তাই নিজ হস্তে দায়িত্ব পালন করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপিল মুনির আশ্রম থেকে শুরু করে মেলার যাবতীয় আয়োজন সবই তিনি খতিয়ে দেখেছেন। সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিয়ে কি ভেবেছেন তিনি? কিভাবে পৌঁছবে মানুষ? জনগণের সুবিধার্থে সেইসব ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

বহু পুন্যার্থী আছেন যারা প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলায় (Gangasagar Mela) যান, কেউ কেউ আবার এ বছরই প্রথম যাচ্ছেন। অনেকে আবার অতীতে অনেকবার গেছেন সব ধরনের মানুষের সুবিধার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহু উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়া আর কষ্টসাধ্য নয়। কথায় আছে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। অতএব সেই জায়গাটিকে হতে হবে একেবারে মনের মতো।

গঙ্গাসাগর মেলায়(Gangasagar Mela) কিভাবে পৌঁছাবেন সেটা একটা বড় ব্যাপার। কেউ বাসে করে যেতে চান কেউ আবার ট্রেনে। অর্থাৎ সবরকম পথনির্দেশ আমাদের বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। আপনি কি ট্রেনে করে গঙ্গাসাগর মেলায় যেতে ইচ্ছুক? তাহলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা থেকে কাকদ্বীপ বা নামখানাগামী ট্রেনে উঠতে হবে। আপনি নেমে যাবেন কাকদ্বীপ স্টেশনে। সেখান থেকে অটোয় বা টোটোয় চেপে যেতে হবে লট ৮ ঘাটে। এবার ভেসেল বা লঞ্চে চেপে যেতে হবে কচুবেড়িয়া এবং সেখান থেকে আবার বাসে চেপে পৌঁছতে হবে গঙ্গাসাগর।

আরও পড়ুন 👉 Gangasagar Mela 2024 Special Train: ট্রেনে চড়ে গঙ্গাসাগর যাওয়ার চিন্তা শেষ! এই দিন থেকে ৭২টি ট্রেন ঘোষণা রেলের

যেসব যাত্রীরা গঙ্গাসাগর মেলায় সড়কপথে যাবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য রইল বিস্তারিত পথনির্দেশ। কলকাতা থেকে আপনারা চাইলেই বাস ধরে ডায়মন্ডহারবার রোড হয়ে পৌঁছতে পারেন লট ৮ ঘাটের মোড়। তারপর সেখান থেকে অটো বা টোটয় চেপে পৌঁছতে হবে লট ৮ ঘাটে। আবার একইভাবে লঞ্চ বা ভেসেলে কচুবেড়িয়া পৌঁছে, সেখান থেকে বাসে যেতে হবে গঙ্গাসাগর মেলায় (Gangasagar Mela)।

চলতি বছর রাজ্য সরকার পুণ্যার্থীদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য যে পরিবহন ব্যবস্থা আয়োজন করেছে তা অবশ্যই আপনাদের জানতে হবে। ২,২৫০টি সরকারি বাস, ২৫০টি বেসরকারি বাস, ৬টি বার্জ, ১০০টি লঞ্চ থাকবে। পাশাপাশি ব্যবহার করা হবে ২১টি জেটি। এছাড়া প্রত্যেকটি বার্জ ও ভেসেলে থাকবে লাইফ জ্যাকেট শুধুমাত্র পুন্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য। জনগণের সুবিধার্থে কলকাতা থেকে ১০ টি বাসের ব্যবস্থা করা হতে পারে। যার মধ্যে থাকবে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম। এছাড়া উন্নত প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে অর্থাৎ ইসরোর সাহায্য নিয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে স্যাটালাইট ট্র্যাকিংও। চলতি বছর কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত অতিরিক্ত ২০০ বাস থাকবে জনগণের সুবিধার জন্য। রেলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বাড়তি রেল চালানোর জন্য। এছাড়াও রাজ্য সরকার জনগণের কথা মাথায় রেখে রেল মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছে যাতে কোনোভাবেই ট্রেন বাতিল না হয়।