Darjeeling Tea: চীনকে টেক্কা দিচ্ছে দার্জিলিং! নিজেদের দেশেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে এই জিনিসটির

Chinese tea is losing popularity to Darjeeling Tea in its own country: আমাদের অতি পরিচিত সুস্বাদু একটি পানীয় হলো চা। এমন অনেক মানুষই আছেন যারা চা খেতে অত্যন্ত পছন্দ করেন। আমাদের দেশের মধ্যে দার্জিলিং এবং আসামের চা এর জগৎজোড়া খ্যাতির কথা সবারই জানা। স্বাদ এবং গন্ধ উভয় দিক থেকেই এই চা এর খ্যাতি অতুলনীয়। এবার দার্জিলিঙের এই চা (Darjeeling Tea) মন জয় করল চীনা যুবক যুবতীদের।

সাধারণ ভাবে চীনকে চায়ের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দার্জিলিং এবং অসম এর চা। জানা যাচ্ছে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের মানুষরা পছন্দ করছেন এই চা গুলিকে। কলকাতার চীনা কনসাল জেনারেল ঝা লিইউ শুক্রবার সল্টলেকে নিজের বাসভবনে বলেন চা এর এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে চীন সরকার কলকাতা থেকে ভারতীয় চা (Darjeeling Tea) চিনে রপ্তানির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

চীনা কনসাল জেনারেল আরো দাবি করেন গত ৯ মাসে চীন সরকারের তরফ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার ভারতীয়কে ভিসা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ভিসা দেওয়া হয়েছে কলকাতা থেকে। বাকি ভিসা গুলি দেওয়া হয়েছে দিল্লি এবং মুম্বাই থেকে। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে কলকাতা থেকে যে আট হাজার জনকে চীনে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৩০০ জন হলেন পড়ুয়া। তারা ভিসা নিয়ে মেডিকেল পড়তে গেছেন চীনে।

আরও পড়ুন 👉 Indian army vs China army: রাতের ঘুম উড়ল জিনপিংয়ের! চীন সেনাদের কুংফুর জবাব দিতে তৈরি ভারতের ঘটকা, খুকরি, কালারি পায়ত্তু

তবে তিনি জানিয়েছেন এদেশ থেকে চীনে যাওয়ার জন্য এই বিপুল পরিমাণে ভিসা দেওয়া হলেও খুব কম সংখ্যক চীনা অধিবাসীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে ভারতে আসার জন্য। কিন্তু ঝা লিইউ বলেছেন এই ভিসার বিষয়ে তার মনে দুঃখ না থাকলেও কয়েকটি বিষয়ে তার মনে বেশ খেদ আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভারত ও চীনের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। তবে তিনি আশাবাদী আগামী বছরের মধ্যেই এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

তিনি মনে করেছেন এই পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভারত ও চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতি হবে। পর্যটক ও ব্যবসার পরিধি, দুইই বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উভয় দেশই উপকৃত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এ বছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন যাত্রার একশো বছর পূর্তি উপলক্ষে বেজিংয়ে পিকিং বিশ্ববিদ‌্যালয়ে মে মাসে আয়োজন করা হয়েছে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কলকাতা ও শান্তিনিকেতন থেকে পাঁচজন অধ্যাপককে। আশা করা যাচ্ছে সংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমেও তৈরি দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।