লাল্টু: সিভিক ভলেন্টিয়াররা নিজেদের ডিএম, এসপি মনে করে! সিভিক ভলেন্টিয়াররা এলাকায় এলাকায় নিজেদের দাদাগিরি দেখায়! রাজ্যজুড়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। তবে সব সিভিক ভলেন্টিয়ারই যে একই রকম তা কিন্তু নয়। তাইতো রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরই অনেককে দুস্থ দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়, আবার বহু সিভিক ভলেন্টিয়ারকে নানান সামাজিক কাজেও দেখা যায়। ঠিক সেই রকমই এবার বীরভূমে এমন এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের দেখা মিলল, যিনি নগদ ৩৩ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেলেও সেই টাকা আত্মসাৎ করেননি, সেই টাকা নির্দ্বিধায় আসল মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
নগদ ৩৩ হাজার টাকা! আমরা যতই নিজেদের সৎ প্রমাণিত করি না কেন, এইরকম নগদ ৩৩ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেলে তা নিয়ে অনেক কিছুই চিন্তা ভাবনা করব, এটাই স্বাভাবিক। তবে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কুড়িয়ে পাওয়া সমস্ত টাকায় ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন সবার।
আরও পড়ুন: Indian Idol Mansi Ghosh : ইন্ডিয়ান আইডল জিতে মানসীর ঝুলিতে পুরস্কারের বন্যা
কুড়িয়ে পাওয়া নগদ ৩৩ হাজার টাকা আসল উপভোক্তার হাতে ফিরিয়ে দেওয়া ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার হলেন দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তার নাম সুব্রত দাস। আর যাদের টাকা এইভাবে হারিয়েছিল তারা হারিয়ে যাওয়া টাকা ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে এমন বিপুল পরিমাণ টাকা হারালো? জানা যায়, বুধবার দুপুরে বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহুলা গ্রামের রেখা ঘোষ তার ছেলে মনজিৎ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়েছিলেন মঙ্গলপুর গ্রামের বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরে থাকা পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংকে। কিন্তু তারা ব্যাংকে গিয়ে টাকা দেওয়ার সময় দেখেনি টাকা ভর্তি ব্যাগ নেই।
একসঙ্গে এত টাকা না পাওয়াই মা ও ছেলে কি করবেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তারপর তারা দুবরাজপুর থানায় আসেন এবং সেখানে এসে জানতে পারেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সুব্রত দাস তাদের হারিয়ে যাওয়া ৩৩০০০ টাকা আগেই থানায় জমা দিয়ে গেছেন। এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে বুঝতে পারেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সুব্রত দাস যে টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন সেই টাকার আসল মালিক রেখা ঘোষ এবং তার ছেলে মনোজিৎ ঘোষ। তারপরই তাদের হাতে ওই টাকা তুলে দেওয়া হয়।