এই সমাজে একজন নারী ছাড়া একজন পুরুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। নারী তার দশ হাত দিয়ে আগলে রেখেছে গোটা সমাজ তথা দেশকে। নারী পারে না এমন কোনও কাজ নেই। তবুও এ সমাজ আজও পুরুষের সাফল্যকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আর নারী সে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেও থেকে যায় অগোচরে। এমনই এক নারী হলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। যিনি আবারও প্রমাণ করে দিলেন নারী অর্ধেক আকাশ সমান। তার সীমা মোটেই সীমিত নয়! তাইতো জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবের উর্ধে উঠে গোটা দেশের মানুষকে রক্ষা করতে অপারেশন সিঁদুরের অন্যতম মুখ তিনি।
অপারেশন সিঁদুরের প্রথম দিনেই সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশির উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ে। চর্চা শুরু হয় দিকে দিকে। সেনা-ঐতিহ্যের সন্তান কর্নেল কুরেশি। তাঁর বাবা এবং ঠাকুর্দা, দু’জনেই ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য। ছোটবেলা থেকেই সেনাবাহিনীর পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা সোফিয়া কুরেশি নিজেও দেশের সেবায় এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়নে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে তিনি কলেজের অধ্যাপনায় যুক্ত হন এবং পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণাও শুরু করেন। কিন্তু যখন কেন্দ্রীয় সরকার সেনাবাহিনীতে উচ্চপদে মহিলাদের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তখন নিজের গবেষণা মাঝপথে বন্ধ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
পরে বিভিন্ন সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়ে নিজের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন কর্নেল কুরেশি। তাঁর এই অসাধারণ নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং জেনারেল বিপিন রাওয়াতও।