নিজস্ব প্রতিবেদন : কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না করোনা। দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও এখন হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও বেড়ে চলেছে সংক্রমণের সংখ্যা। যেখানে একসময় পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা এবং শহরতলী জেলাগুলি ছাড়া অন্যান্য জেলাগুলিতে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা, সেই সকল জেলাগুলিও এখন সংক্রমণের নিরিখে বাঁধ ভাঙছে। অন্যান্য জেলার মত বীরভূমেও বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। আর এই সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে একের পর এক বেড়ে চলেছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আনলক পর্যায়ে যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে আলাদা করে কড়া লকডাউন করা হবে, তখন বীরভূমে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯। এরপর সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৯। ১৯ থেকে হয় ২২। আর এবার এই সংখ্যাটা ২২ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ২৬। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গত ২২ শে জুলাই এই কনটেইনমেন্ট জোন বৃদ্ধির সংখ্যা প্রকাশ করা হয়।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, বীরভূমে সবথেকে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন এলাকা রয়েছে রামপুরহাট মহকুমায়। সেখানে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৫। সিউড়ি মহকুমা এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হলো ৬। এরপর রয়েছে বোলপুর মহকুমা। যেখানে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হল ৫।
অন্যদিকে রাজ্যে ও কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫৭। রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হল পূর্ব বর্ধমানে। যেখানে সংখ্যাটা হলো ১৭৩। এরপর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা যেখানে রয়েছে ১১৩ টি কনটেইনমেন্ট জোন। নদিয়ায় কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে ১০৬ টি। বাকি কলকাতায় ২৮, হাওড়ায় ৮০, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৬৭, হুগলি ২১, পূর্ব মেদিনীপুর ২৩, পশ্চিম মেদিনীপুর ৮৬, মালদা ৪, জলপাইগুড়ি ১১, দার্জিলিং ৭, কালিম্পং ১২, উত্তরদিনাজপুর ৬৭, দক্ষিণ দিনাজপুর ১১, মুর্শিদাবাদ ২০, বাঁকুড়া ৪৬, বীরভূম ২৬, কোচবিহার ৩, পুরুলিয়া ২৭, আলিপুরদুয়ার ২৬। কনটেইনমেন্ট জোনহীন জেলা পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রাম।