উধাও অনুব্রতর ‘শর্ট-সার্কিট’ তত্ত্ব, CBI-এর এফআইআর-এ অন্য কথা

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার রাতে বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। ঘটনার পরেই রাজ্য সরকার সঠিক তদন্ত হবে বলে দাবি করে। তবে তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল শর্ট-সার্কিটের তত্ত্ব আনেন।

তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই অনুব্রত মণ্ডলের এই তত্ত্ব রীতিমতো কাঠগড়ায় তুলে শাসক দলকে। শর্ট সার্কিট থেকে কিভাবে বিচ্ছিন্নভাবে একাধিক বাড়িতে আগুন লাগতে পারে তা নিয়েই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। এবার সিবিআই এই তদন্তভার নিতেই এফআইআর-এ কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট-সার্কিট তত্ত্ব।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, “প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, ভাদু শেখের খুনের পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অন্তত ৭০-৮০জন কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এরপর ওই পরিবারগুলির সদস্যদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার জন্য বাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে সাতজনের মৃত্যু হয় ও চারজন জখম হন। পরে ফটিক শেখের স্ত্রী মীনা বিবির মৃত্যু হয় হাসপাতালে।”

ওয়াকিবহালের মতে, বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বগটুই গ্রামের সোমবার রাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা মূলত খুনের বদলা নিতেই নৃশংস খুন। তবে এই তদন্ত এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলায় তদন্তভার নিজেদের হাতে নিয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আদালতে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ বগটুই গ্রামের পাশে থাকা ১৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই গ্রামের বাসিন্দা বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এই ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। মঙ্গলবার সকাল হতেই জানতে পারা যায় নৃশংস এই ঘটনার কথা। তারপরই এই ঘটনার নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে।